জীবিকার তাগিদে কনকনে শীত এবং ঘন কুয়াশা উপেক্ষা করে প্রতিদিন সকাল-বিকাল মাছ শীকার করতে যান আছলামপূর ৮নং ওয়ার্ডের মৎস্যজীবী মোঃ ফরিদ (৩০)। এ সময় জ্বর, সর্দি-কাশি সম্মুখীন হতে হয়। বর্তমানে নদীতে তেমন ইলিশ মাছ না পেলেও শীত উপেক্ষা করে প্রদিনই মাছের আশায় বিচরণ করেন মেঘনা নদীতে।
এদিকে আমেনা বেগম (২২) একজন মৎস্য পরিবারের সদস্য। স্বামী-সন্তান সকলেই মৎস্যজীবী। তবে এই শীতের নিয়মিত যেতে পারছেন না মাছ শীকার করতে। বর্ষার মৌসুমে অতিরিক্ত বর্ষা ও ঘূর্ণিঝড় এবং শীতের মৌসুমে অতিরিক্ত শীত তাদের জীবনে এক প্রাকৃতিক বাধা।
চরফ্যাসন উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা জয়ন্ত কুমার অপু জানান, বিভিন্ন সভা-সেমিনারে মৎস্যজীবীদের স্বাস্থ সুরক্ষার বিষয়ে নানান পরামর্শ দেওয়া হয়। জানানো হয় মৌসুমী রোগ বালাই থেকে সতর্ক থাকার উপায়ও। এছাড়াও মৎস্য দপ্তরের পক্ষ থেকে মৎস্যজীবীদের জন্য শীত বস্ত্রের কোনো ব্যবস্থা না থাকলেও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কম্বল বিতরনের পরিকল্পনা করা হয়েছে বলেও জানান উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা।
রেডিও মেঘনার সাপ্তাহিক অনুষ্ঠান ‘জেলে জীবন ও প্রাকৃতিক দূর্যোগ’। শুনুন ৯৯.০ এফএম এ বৃহস্পতিবার বিকেল ০৫:০০ টায়।
Recent Comments