বাংলাদেশে ১৯৭৯ সালে ছয়টি রোগের প্রতিরোধক হিসেবে শুরু হয় ইপিআর টিকাদান কর্মসূচি। এই ইপিআর টিকাদানের গুরুত্ব সম্পর্কে চরফ্যাশনের সহকারী র্সাজন ডাক্তার মো: রায়হান জানান, শূন্য থেকে ১৮ মাস বয়সি শিশুদেরকে দেওয়ার পাশাপাশি গর্ভবতী নারী ও কিশোরীদেরও দেওয়া হয়। বর্তমানে ১০ টি রোগ প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে এই টিকা যেমন; যক্ষা, ডিপথেরিয়া, পারটুসিস, টিটেনাস, হেপাটাইটিস, ইনফ্লুয়েঞ্জা, নিউমোনিয়া, পোলিও, রুবেলা।

এসকল টিকা কার্ডের মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট সময়ে প্রদান করা হয়। এই টিকার সাধারণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে টিকার স্থান ব্যথ্যা বা ফুলে যাওয়া, জ¦র, শরীর ম্যাজম্যাজ করা ইত্যাদি দেখা দেয়। তবে কারো কারো ক্ষেত্রে খিচুনিও হতে পারে। এমনটা হলে দ্রæত ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে বলে জানান তিনি।

তিনি আরও জানান, চরফ্যাশনের প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি করে এবং একটি ইউনিয়নে প্রায় ২৪টি টিকাদান কেন্দ্র রয়েছে। এছাড়াও চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ২য় ফ্লোরে ২০৮ নং রুমে প্রতি সোমবার ও বৃহস্পতিবারে এই টিকা দেওয়া হয়।

স্বাস্থ্য বিষয়ক রেডিও মেঘনার সাপ্তাহিক অনুষ্ঠান, “স্বাস্থ্যকথা” শুনুন প্রতি রবিবার বিকাল ৫:৪০এ।

উপস্থাপনায়ঃ তাসপিয়া, প্রযোজনায়ঃ উম্মে নিশি।