চরফ্যাসনে চোখ ওঠা রোগের প্রকোপ বাড়ছে। প্রায় প্রতিটি ঘরেই কেউ না কেউ এ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। চিকিৎসকরা বলছেন, আবহাওয়া জনিত কারণে চোখ ওঠার প্রকোপ বাড়ছে। চিকিৎসা বিজ্ঞানে এটিকে কনজাংটিভাইটিস বা কনজাংটিভার বলা হয়। তবে স্থানীয়ভাবে এ সমস্যাটি চোখ ওঠা নামেই পরিচিত। রোগটি ছোঁয়াচে। ফলে দ্রুত অন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে।
চরফ্যাসন হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গত ১ থেকে ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৪২৬ জন রোগী চোখ ওঠা রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে ০-৫ বছরের শিশু ১০৯ জন, ১৬-৪০ বছরের নারী-পুরুষ ১৭৯জন এবং ৪১-৫০ বছর এর উপরে নারী- পুরুষ ১৩৮ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। মাসের শুরুতে এই রোগের আক্রান্তের হার কম থাকলেও সপ্তাহের ব্যবধানে এর প্রকোপ দিগুন হয়েছে।
হাসাপাতালে আসা একাধীক রোগী ও রোগীর স্বজনরা বলছেন, হঠাৎ করে চোখে পানি ঝরা,চোখ লাল হয়ে ফুলে ব্যথা শুরু হয় এজন্য ডাক্তার দেখাতে এসেছেন। এই ধরনের চোখ ওঠা রোগে এলাকা বা পরিবারের বেশ কয়েজনের এমন হয়েছে।
এই চোখ ওঠার সমস্যা টি ছোয়াঁছে রোগ তাও কেন স্বাস্থ্যবিধি মানচ্ছেনা এমন প্রশ্নের উত্তরে রোগীরা বলছে, পারিবারিক বিভিন্ন কাজে করতে হলে ঘরের বাহিরে বের হতেই হয়, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা তাদের পক্ষে সম্ভব হয়ে ওঠেনা।
চরফ্যাসন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেস এর আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ মোঃ মাহাবুব করিব জানান, চোখ ওঠা একটি আবহাওয়া জনিত ছোঁয়াচে রোগ। পরিবারের একজনের থেকে অন্যজনের হতে পারে। সুতরাং এসব ক্ষেত্রে রোগ প্রতিরোধের জন্য পরিবারের সবাই কাপড়, তোয়ালে ও অন্যান্য জিনিস আলাদা ব্যবহার করতে হবে। আক্রান্তদের উদ্বিগ্ন না হয়ে চক্ষু চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। পাশাপাশি বাসায় আইসোলেশনে থাকতে হবে এবং বাহিরে বের হলে কালো চশমা ও মুখে মাক্স পরতে হবে।
মৌসুমী মনীষা ও সুরভী।
রেডিও মেঘনা-চরফ্যাসন।