সাধারণত পাঁচ বছর বয়সি শিশুরা একটু বেশিই চঞ্চল হয়। সারাদিন মাতিয়ে রাখেন পরিবারের অন্য সদস্যদের। তবে বিপরীত চিত্র দেখা যায় আসলামপুর ৯নং ওয়ার্ডের আয়েশা বেগমের (২৫) প্রথম সন্তান তামান্নার (৫) ক্ষেত্রে। যখন তার দুরন্ত শৈশব কাটানোর কথা তখনও বেড়ে ওঠেনি তার শারীরিক গঠন।
আয়েশা বেগম বলেন, জন্মের পর থেকে ছয়মাস বয়স পর্যন্ত শুধুমাত্র বুকের দুধ পান করিয়েছি। ছয়মাস বয়স থেকে বাড়তি খাবার শুরু করি তবে তামান্নার জন্য তৈরি করা হয়নি ভিন্ন কোনো খাবার। সাংসারিক ভিবিন্ন কাজ আর শিশুদের খাবার সম্পর্কে সঠিক ধারণা না থাকায় নিজেদের জন্য রান্না করা খাবারের থেকেই দিয়েছি মেয়েকে।
শিশুদের সঠিক খাদ্য সম্পর্কে পরামর্শ দেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাক্তার মাহাবুব কবির। তিনি বলেন, ছয়মাস বয়স থেকে শিশুদের বাড়তি খাবার হিসেবে দিনে দুইবার ঘরে তৈরি নরম খিচুড়ির সাথে শাক-সবজি, মাছ, কলিজা ও সেদ্ধ ফল দিতে হবে। শিশুদের বয়স বাড়ার সাথে সাথে খাদ্য তালিকায় যুক্ত করতে হবে বিভিন্ন ফলমূল, শস্য, দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার, মটরশুটি, ডাল, বাদাম ও বীজ জাতীয় খাবার দিতে হবে। মনে রাখতে হবে শিশুকে খাবারের জন্য বেশি জোড় করা যাবে না।
রেডিও মেঘনা ৯৯.০ এফএম এর সাপ্তাহিক ‘‘আজকের শিশু” আয়োজনটি শুনতে পান প্রতি সপ্তাহের শুক্রবার বিকাল ০৫:০০ টায়। শুধুমাত্র রেডিও মেঘনা ৯৯.০ এফএম এ।