চার বছর আগের কথা,থাকার জন্য একতিল জমিও ছিলনা অন্যের জায়গায় থাকতে হতো, শুনতে হতো প্রতিবেশির কটু কথা। স্বামী দপ্তরির চাকরি করে ছয় সদস্য নিয়ে পরিবারের খরচ ও তিন সন্তানদের পড়াশুনার খরচ চালানো অনেক কঠিন ছিল। এমন অবস্থায় জাল বোনা, নকঁশী কাঁথা সেলাই, প্রতিবেশীদের বাড়িতে কাজ করে সংসারের হাল ধরেন এবং জমি কিনে নিজের একটি বাড়ি করেছেন। গল্পটি চরফ্যাসন উপজেলার আলিগাঁও ২নং ওয়ার্ডের (ছদ্দ নাম) রিনা বেগমের (৪০)। বর্তমানে নিজের সখের বাড়িটি সাজিয়েছেন ফল-মূল আর শাক সবজি দিয়ে। যেদিকেই চোখ পরে সেখানেই দেখা যায় সবুজের সমারোহ। বাড়িতে ঢুকতেই চোখে পরে মাথার উপর ধুলছে লাউ এবং চারপাশে রয়েছে পেঁয়াজ, রসুন, মিষ্টি আলু, সিম, সিম লেবুর বাগান। তার এই সবজি চাষ থেকে মাসে ছয় হাজার টাকার মতো আয় পেয়ে থাকেন। অভাবের দিন শেষ হয় তার আয়ের মধ্য দিয়ে। তিনি বলেন বেশ ভালো আছেন এখন নিজের প্রয়োজন মিটিয়ে অনেক লাভবান হোন। বাড়ির একটু জায়গাও ফাঁকা রাখতে চাননা সব জায়গায়ই বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করা তার সখ। এক সময় মানুষ তুচ্ছ-তাছিল্য করলেও এখান আমার কাছ থেকে সবাই সবজি ফল কেনার জন্য আসেন।গ্রামীন নারীদের সফলতার গল্প নিয়ে শুনন রেডিও মেঘনার সাপ্তাহিক অনুষ্ঠান “সফলতার গল্প” প্রচারিত হয়েছে বৃহস্পতিবার ১এপ্রিল বিকাল ৫:৪০ মিনিট। অনুষ্ঠানটির উপস্থাপনায় তাসপিয়া।
Recent Comments