প্রখর রোদের খড়া কাটিয়ে বর্ষার শুরুতেই বৃষ্টিতে প্রাণ ফিরে পেয়েছে চরফ্যাসনের কৃষকরা। বর্ষার মৌসুমে ফসলের মাঠ জুড়ে রয়েছে কাঁচা মরিচ, লাউ, শসা, চিচিঙ্গা, করলা, পেঁপে ও ঢেরস। এই বৃষ্টির কারণে ফসলের বেশ ভালো ফলনে আর্থিক ভাবে লাভবান হওয়াতে হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে। দীর্ঘদিনের তাপপ্রবাহ শেষে বৃষ্টিতে ফসলে সজীবতা ও উৎপাদন আরো বৃদ্বি পাবে বলে জানান চরফ্যাসনের কৃষকরা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চরফ্যাসন উপজেলায় চার হাজার পাঁচশ হেক্টর সবজি আবাদ হয়েছে এবং বর্তমানে মাঠে সবজির অবস্থা খুবই ভালো।
আসলামপুর ইউনিয়নের এলাকা ঘুরে দেখা যায়, কৃষক ও শ্রমিকরা ক্ষেত থেকে সবজি তুলে সড়কের পাশে স্তুপ করে রাখছেন। বলা যায়, হাট বাজারে ফসল নেওয়ার নেই তেমন  ঝামেলা, ক্ষেত থেকে পাইকারি বিক্রেতারা নগদ টাকায় সকল সবজি কিনে নিচ্ছেন। এ বছর সবজির ভালো ফলনের পাশাপাশি, দাম ভালো পাওয়ায় লাভবান চরফ্যাসনের কৃষকরা।
কৃষক গনি সওদাগর ও ইয়াসিন মিয়া জানান, এবছর ১৮ ঘন্ডা জমিতে কাচা মরিচ, লাউ, পেপে, করলা, চিচিঙ্গা চাষ করেছেন। পুরো চাষা বাদে খরচ হয়েছে প্রায় ২ লক্ষ টাকা। বিক্রি হয়েছে ১লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। এখনো জমিতে রয়েছে ব্যাপক ফসল যা আগামী এক মাস ধরে বিক্রি করতে পারবেন বলে জানান।
উপজেলা কৃষি বিভাগের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা রোকনুজ্জামান বলেন, বর্ষার মৌসুমে হঠাৎ বৃষ্টি হওয়ায় চরফ্যাসনের অনেক জমিতে জলবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। কৃষকরা নিচু জমির সবজি রক্ষা করতে নালা গুলো পরিষ্কার করে দিতে হবে যেন বাড়তি পানি নেমে যায়। তবে এই বৃষ্টি ফসলের জন্য কল্যাণকর। এতে উৎপাদন খরচ কমে ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে।
অধরা ইসলাম ও তায়েবা
রেডিও মেঘনা চরফ্যাসন।