বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বৈরী আবহাওয়ার সৃষ্টি হয়ে কৃষিতে দেখা দেয় নেতিবাচক প্রভাব। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে কৃষি ও কৃষক ব্যাপক ক্ষতির মুখোমুখি হচ্ছে। সেই সাথে এর প্রভাবে তাপমাত্রা বৃদ্ধি, বৃষ্টিপাতের পরিমাণ এবং ধরণ পরিবর্তিত হচ্ছে। এর বিরূপ প্রভাব পড়ছে কৃষি কাজে। ফলে প্রয়োজনীয় খাদ্য উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে।
জলবায়ু পরবির্তনে ধীরে ধীরে তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে নানা প্রকারের দূর্যোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে অনাবৃষ্টি,অতিবৃষ্টি খরা বণ্যা,জলোচ্ছাস এর ফলে জলবায়ুর এবং আবহাওয়ার স্বাভাবিক অবস্থাকে অস্বাভাবিক ও অস্থিতিশীল করে তুলেছে, যার বিরুপ প্রভাব পড়ছে কৃষির ওপর। এমনি চিত্র চোখে পড়ে হাজারিগঞ্জ ইউনিয়নে।
সময় উপযোগী বৃষ্টি না হওয়ায়, অসময়ের বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় আউশ ও আমন ধান রোপনে দেড় মাস পিছিয়ে পড়লেও আমন রোপনে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা।
এদিকে জমিতে লবণাক্ত পানি জমে থাকায়, কৃষকরা ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার জন্য মাঁচা তৈরি করে চাষ করছেন বিভিন্ন প্রকার মৌসুম ভিত্তিক সবজি।
চরফ্যাসন উপজেলা কৃষি কর্তকর্তা আবু হাসনাইন বলেন, দক্ষিনাঞ্চলের উপকুলীয় জেলাগুলোর নিচু এলাকাসমূহে লবনাক্ততার সমস্যাটি র্দীঘ দিনের। আর জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এ সমস্যা আরো প্রকট হচ্ছে। এসব অঞ্চলে লবনাক্ততা ক্রমশ বৃদ্ধি পেয়ে বিরুপ প্রভাব পরছে সমগ্র কৃষি চাষাবাদে।
তিনি আরো বলেন, কৃষকদের ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার জন্য সরকারি ভাবে কৃষি অফিস থেকে জলবায়ু সহনশীল ধানের বীজ থেকে শুরু করে বিভিন্ন সবজির বীজ দেওয়া হচ্ছে। প্রাকৃতিক এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে সকল প্রকার চাষাবাদে উঁচু জমি বা মাচা পদ্ধতিতে চাষাবাদ করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন তিনি।
মৌসুমী মনীষা
রেডিও মেঘনা-চরফ্যাসন।