জলবায়ুর প্রভাবে বর্ষা মৌসুমেও মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীর অভয়াশ্রমে পাওয়া যাচ্ছে না কাঙ্ক্ষিত ইলিশ। নদীপাড়ের আড়তগুলোতে নেই চিরচেনা সেই হাঁকডাক। বিভিন্ন জায়গা থেকে ধার-দেনা করে হতাশায় আছেন জেলেরা।
১১ জুন শেষ হয়েছে দীর্ঘ ৫৮ দিনের সামুদ্রিক নিষেধজ্ঞা। নিষেধজ্ঞা শেষে চরফ্যাশন উপজেলার সামরাজের জেলেরা ট্রলার নিয়ে মেঘনা ও তেতুলিয়া নদী চষে বেড়াছেন। ভোর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত জাল ফেলেও পাচ্ছেন না কাক্সিক্ষত ইলিশ। এতে করে মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীর পাড়ের জেলেরা অসহায় হয়ে পরছেন।
সরেজমিনে গিয়ে সামরাজ ঘাটের মাঝি মো: কামাল এবং রহিম মিয়ার সাথে কথা বলে জানা যায়, র্দীঘ ২০ বছর নদীতে মাছ ধরছেন তারা। ধার-দেনা করে এ বছর নদীতে মাছ শিকারে গেলেও নদীতে কাঙ্ক্ষিত ইলিশ মিলছে না। এতে করে পরিবার পরিজন নিয়ে অভাব অনটনের মধ্যে দিন পার করছেন তারা।
এছাড়াও তারা আরো বলেন, ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়ার আশায় প্রতিদিন নৌকা ট্রলার নিয়ে নদী, সাগরে যাচ্ছেন। কিন্তু তারা কাঙ্ক্ষিত ইলিশ না পেয়ে হতাশা নিয়ে ফিরছেন তীরে।
এ বিষয়ে চরফ্যাশন উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা জনাব জয়ন্ত কুমার অপু বলেন, জলবায়ুর পরিবর্তনের প্রভাবে নদীর গতিপথ পরিবর্তন, উজানে পাহাড়ি ঢল না থাকায় এখনো কাঙ্ক্ষিত রুপালি ইলিশ ধরা পড়ছে না। উপকূলীয় এই নদ-নদীগুলোতে আষাঢ়-শ্রাবণ এই দুই মাস ইলিশের জন্য ভরা মৌসুম। এই মৌসুমে জেলেরা তাদের কাঙ্ক্ষিত ইলিশ পাবে বলে আশা করছেন তিনি।