কমে গেছে খেজুর গাছের সংখ্যা, তবুও ঐতিহ্য ধরে রেখেছেন চরফ্যাসনের ইব্রাহিম ভূঁইয়া

উত্তরের হিমেল হাওয়া ও হালকা কুয়াশায় সারাদেশসহ দক্ষিনাঞ্চলে শুরু হয়েছে শীতের আমেজ। শীতের আগমনের সঙ্গে সঙ্গে কদর বেড়েছে খেজুর গাছের। আগের মতো খেজুর গাছের সংখ্যা না থাকলেও চরফ্যাসনের কিছু এলাকায় মৌসুম শুরুতেই ব্যস্ত হয়ে পড়েছে খেজুর রস আহরণে প্রত্যন্ত গ্রামের গাছিরা।
শীত মৌসুমে খেজুর রস আহরণ, গুড় তৈরি আর নবান্নের উৎসব একটি প্রাচীন ঐতিহ্য। সেই সঙ্গে খেজুর রসের পিঠা-পায়েস বাংলার বেশ জনপ্রিয়। চরফ্যাসন উপজেলার হাজারীগঞ্জ, জাহানপুর, আসলামপুর, ওমরপুরসহ বেশ কিছু ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের কম সংখ্যক খেজুর গাছ প্রস্তুতও রস সংগ্রহ করতে সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়।
হাজারীগঞ্জ এলাকার খেজুর গাছি মোঃ ইব্রাহিম ভূঁইয়া বলেন, বছরজুড়ে অযত্ন আর অবহেলায় পড়ে থাকলেও শীতকালে রস আহরণের জন্য খেজুর রস সংগ্রহের জন্য গাছ প্রস্তুত করেছে। শীত শুরুর আগেই তিনি নিজের ও অন্যদের কাছ থেকে খেজুরের গাছ বর্গা নিয়ে থাকে। মাটির কলসি রাতভর রস সংগ্রহ করে সূর্য ওঠার আগেই তা আবার নামিয়ে নেন। শীতের পুরো মৌসুমজুড়ে চলবে এই রস সংগ্রহের কাজ।
এছাড়া তারা বলেন, অগ্রহায়নর মাস থেকে ফাল্গুন মাস পর্যন্ত রস আহরণ করা হয়। আগে প্রতিদিন ৭০ থেকে ৮০ টি গাছের রস সংগ্রহ করতে পারতো এখন গাছ নেই বলে প্রতিদিন ২০ থেকে ২৫ টা গাছের রস আহরন করে। ছোট এক কলস রস ১০০-১৫০ এবং বড় কলস ২০০-২৫০ টাকায় বিক্রি করে, শীত আসলে রস সংগ্রহ করতে ভালো লাগে এবং বংশানুক্রমে প্রতিবছরই কম বেশি খেজুরের রস সংগ্রহ করে ঐতিহ্য ধরে রেখেছে বলে জানান।

প্রতিবেদনে সুরভী ও অধরা।
রেডিও মেঘনা, চরফ্যাসন।