বোন আমার বাকপ্রতিবন্ধী কিন্তু তাই বলে কি তাকে ফেলে দিবো! ভাই-বোন হলো রক্তের বাঁধন আর এই বাধন সারাজীবনেও ছিরে যেতে দিবোনা। এমনই ভাবে একজন বাকপ্রতিবন্ধী বোনের জীবনী এবং বোনকে নিয়ে তার ইচ্ছার কথা জানান আমিনাবাদ ৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো:সাহে আলম (৪০)।
তিনি জানান, আমরা তিন বোন চার ভাই। চার ভাই সুস্থ্য-সবল থাকলেও তিন বোনই জন্মগতভাবেই বাকপ্রতিবন্ধী। তিন বোনের মধ্যে বর্তমানে এক বোন বেঁচে আছেন যিনি ভাই-বোনের মধ্যে পঞ্চম। অন্য দুই বোন বাকপ্রতিবন্ধী থাকা সত্তে¡ও বিপুল টাকা খরচ করে বিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু বিয়ের পর তাদের মৃত্য হয় যার কারনে পরবর্তীতে এই বোনকে আর বিয়ে দেইনি। এখন বোনের খাওয়া, পরা থেকে শুরু করে চিকিৎসা, সেবাযত্ন সবকিছুই আমরা করি। আমি কৃষি কাজ করি। এই সীমিত আয় দিয়ে সংসার চালাতেই হিমশিম খেতে হয়। এরপরেও বোনকে সুস্থ্য করতে সাধ্যমতো চেষ্টা করি। প্রতিবন্ধী ভাতার টাকা দিয়ে তার বোনের সামান্য কিছু খরচ মেটাতে সক্ষম হন। তবুও তিনি জানান যতদিন আমার জীবন আছে এবং আমার পক্ষে সম্ভব ততদিন আমি আমার অসুস্থ্য বোনের সেবা করে যেতে চাই।

শিশুর জন্মগত ত্রুটির কিছু কারনের মধ্যে একটি হচ্ছে মায়ের শারীরিক সমস্যা থাকা যেমন: ডায়াবেটিকস, হরমোনের সমস্যা, হাইপার টেনশন, ইত্যাদি। এছাড়াও অনেক সময় দেখা যায় মায়েরা বুজতেই পারেন না যে তাদের গর্ভে সন্তান আসছে ফলে গর্ভধারণের শুরু থেকে মায়েরা পুষ্টিকর খাবার গ্রহন করতে না পারার ও বিভিন্ন রোগের ঔষধ সেবন করার কারণে শিশুর জন্মগত ত্রুটি হয়ে থাকে। তাই শিশুরে জন্মগত ত্রুটি রোধ করতে একজন মাকে অবশ্যই গর্ভ ধারণের পূর্বে তার শরীরের রোগ সম্পর্কে জানতে হবে এবং সেই রোগের যথাযথ চিকিৎসা নিতে হবে। চিকিৎসা নেওয়ার পর ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করে গর্ভ ধারণ করতে হবে। এছাড়াও একজন গর্ভবতী মাকে অবশ্যই নিয়মিত চেকআপ করাতে হবে বলে জানান, চরফ্যাসন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর গাইনি কনসালটেন্ট ডাক্তার হোসনেয়ারা।
প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জীবন-যাপন ও প্রতিবন্ধীত্ব রোধে করনীয় বিষয়ে রেডিও মেঘনার সাপ্তাহিক অনুষ্ঠান “ধীমান” শুনুন প্রতি শুক্রবার সকাল ০৮:২৫ মিনিটে। শুধুমাত্র রেডিও মেঘনা ৯৯.০এফএম এ।