হাজারীগঞ্জ ৯নং ওয়ার্ডের দুই সন্তানের জননী ইয়াসমিন বেগম (২৬)। তার বড় মেয়ে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে। নিয়মিত বিদ্যালয়ে উপস্থিত হলেও বসায় পড়াশুনার প্রতি তেমন মনোযোগ নেই। অধিকাংশ সময় খেলাধুলার মধ্য দিয়ে পার করে দিন শেষে পড়তে বসালেও কিছুক্ষণ পড়ার পর আর পড়তে চায় না। এতে একদিকে যেমন তিনি দুশ্চিন্তা করছেন অন্যদিকে নিয়মিত চেষ্টা করে যাচ্ছেন সন্তানকে পড়া-শুনায় মনোযোগী করে তুলতে।
এদিকে দক্ষিণ শিবা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জনাব নুরুল হোসাইন জানান, আমাদের বিদ্যালয়ে প্রাক-প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদান চলমান আছে। এই ছোট্ট শিশুদের নিয়মিত আমরা কিছু কৌশলের মাধ্যমে পাঠদান দিয়ে থাকি। এখনকার শিশুরা মোবাইল বা অন্যান্য ডিভাইস এবং বিনোদনের প্রতি বেশি মনোযোগী। তাই আমরা পাঠের শুরুতেই তাদেরকে উৎসাহ দিতে মাল্টিমিডিয়া ব্যবহার করে পাঠের সাথে যুক্ত এমন বিনোদন দেই। এরপর পুরো পাঠে এই মনোযোগ ধরে রাখার জন্য তাদের অংশগ্রহণ রাখি। পাঠদানের সময় কিছু নিয়ম মেনে চলা হয়।
১. প্রথমে আমরা নিজেরা পড়ে শুনাই
২. শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে হাতের তালি ও অন্যান্য অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে একাধিক বার পড়াই
৩. তাদের একা একা পড়তে দেওয়া হয়
শিশু যেভাবে শিখতে চায় তাকে সেই কৌশলে শেখাতে হবে। এছাড়াও তিনি অভিবাবকদের উদ্দেশ্য বলেন, তারা যেনো সময়মতো প্রতিদন শিশুদের বিদ্যালয়ে পাঠায়। তাহলে ধীরে ধীরে শিক্ষার মান উন্নয়ন করা সম্ভব হবে বলে মনে করেন জনাব নুরুল হোসাইন।
বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহনে প্রচারিত হয় রেডিও মেঘনার সাপ্তাহিক অনুষ্ঠান ‘বিদ্যাপিঠ’। শুনুন ৯৯.০এফএম এ বৃধবার সকাল ০৮:২৫ মিনিটে।