প্রচন্ড তাপদহে তৃপ্তিদায়ক রসালো স্বাদের পানি তাল চরফ্যাশন বাজারের অলিগলিতে বিক্রি হচ্ছে। গ্রীস্মকালীন এ ফলটিকে ঘিরে গ্রামীণ অথর্নীতিও কিছুটা সচল। প্রতি বছর গ্রীস্মের মাঝামাঝি বাজারে ওঠে দারুন স্বাদের দেশীয় ফল পানিতাল। এ বছরও ভ্রাম্যমাণ ও অস্থায়ী দোকানে নগরীর বিভিন্ন স্থানে উঠেছে ফলটি। বৈশাখের শেষভাগ থেকে সমগ্র চরফ্যাশনের অঞ্চল জুড়ে কমবেশি দেখা মিলে।
চরফ্যাশনের বিভিন্ন প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে সংগ্রহ করে এনে চরফ্যাশন বাজারে বিক্রি হচ্ছে পানিতাল। মূলত একটি পূর্ণাঙ্গ তালের কৈশরকালই পানিতাল। পানিতাল থেকেই পূণ তালের রূপ লাভ করে। দাম তুলনামূলকভাবে কম হবার সাথে স্বাদে অতুলনীয় হওয়ায় সব শ্রেণী-পেশার মানুষই আগ্রহের সাথে পানিতাল কিনছেন। আগামী অন্তত ১৫ দিন এভাবেই বেচাকেনায় আশাবাদী বিক্রেতারা। আকার ও শাঁসের পরিমাণ ভেদে ১০ টাকা থেকে ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে প্রতিটি তাল। দুই শাঁসের একটি তাল ১০ টাকা এবং ৩/৪ শাঁসের তালের মূল্য ২০-২৫ টাকায়ও বিক্রি হচ্ছে।
বিক্রেতা মো: সালাউদ্দিন ও শাকিল জানান, এবছর পানি তালের দাম তুলনা মূলক কম। পানি তাল অন্য জায়গা থেকে সংগ্রহ করে এনে তারপর বাজারে বিক্রি করে। তালের আকার অনুযায়ী দাম রাখা হয়। প্রতি পিস তাল কিনে আনে ৫ টাকা ৬ টাকা।
তারা আরো জানান, পানি তালের আকার ভেদে কেউ রাখছে ১০ টাকা এবং ১৫ টাকা আবার কেউ রাখছে ১৫ টাকা ২০ টাকা। পানি তাল বিক্রি করে এ বছর লাভের আশা দেখছেন বিক্রেতা সালাউদ্দিন ও শাকিল।
ক্রেতা শহীদুল ইসলাম এবং সাইফুল ইসলাম জানান , পানিতাল বছরে একবার বাজারে উঠে । গরমের দুপুরে পানিতাল খেয়ে একটু স্বস্তি পরিবারের জন্য ও নিয়ে যাচ্ছে বাড়িতে।
চরফ্যাশন উপজেলা রেঞ্জ কর্মকর্তা জনাব সালাম হোসেন জানান, তাল গাছ প্রকৃতির উপকারী গাছ। তাল গাছকে সাধারণত বজ্রপাত নিরোধক হিসেবে গণ্য করা হয়। বনবিভাগ কর্তৃক নিজ উদ্যেগে গত বছর ৮হাজার চারা রোপন করেছেন। এছাড়াও সকলকে গাছ লাগানোর আহ্ববান জানান রেঞ্জ কর্মকর্তা জনাব সালাম হোসেন।