জীবনে অর্থনীতিভাবে স্বাবলম্বী বা প্রতিষ্ঠিত হতে অনেকেই অনেক ধরনের ব্যবসা বাণিজ্য করেন। তবে আমাদের সমাজে এমন কিছু মানুষ আছে। যারা একটু ব্যতিক্রম চিন্তা ভাবনা থেকেই নিজেদের কে প্রতিষ্ঠিত করতে ভিন্ন কিছু পেশা বেছে নেন। ঠিক তেমনি প্রবাসী আলী আজগরের চিন্তা ভাবনাও।
চরফ্যাশন উপজেলা রসুলপুর ইউনিয়রে ভাসানচর ৪ নং ওয়ার্ডের আলী-আজগর ২ বছর ধরে কোয়েল পাখির খামার করে মাসে প্রায় ৪০ থেকে ৪৫ হাজার টাকা আয় করেন। আলী আজগররের খামারের প্রায় ৩ হাজার কয়েল পাখি রয়েছে। পাশাপাশি তিনি হাসঁ-মুরগী এবং কবুতর পালন করে থাকেন।
খামারি আলী –আজগর জানায়, আগে কুয়েত থাকতেন,কুয়েতের অবস্থা ভালো না তাই বাংলাদেশে চলে এসেছে। বাংলাদেশে চলে আসার পর আয়ের উৎস হিসেবে কোয়েল পাখির খামার দেন। নরসিংদী থেকে কোয়েল পাখির ৩ হাজার বাচ্চা সংগ্রহ করে এনেছিলেন। দৈনিক খামার থেকে আঠারো’শ ডিম সংগ্রহ করে তা বাজারের বিক্রি করে থাকেন। দৈনিক ১’শ থেকে ২’শ কয়েল পাখি বিক্রি করে মাসে আয় হয় ৪০ থেকে ৪৫ হাজার টাকা।
এছাড়াও তিনি আরো বলেন,অনেকেই আমার খামার ঘুরে দেখছে এবং আমি অনেক যুবককে কোয়েল পাখির খামার গড়ে তোলার পরামর্শ দিচ্ছি।
ক্রেতা মো: জামাল উদ্দিন বলেন, শশীভূষণ থেকে এসেছেন কয়েল পাখি কিনে নেওয়ার জন্য। আলী আজগরের খামার দেখে নিজে অনুপ্রাণিত হয়ে ১৪ জোড়া কয়েল পাখি ক্রয় করেছেন।
চরফ্যাশন উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা জনাব রাজন আলী বলেন, নতুন কিংবা পুরাতন কোন খামারীর খামার সর্ম্পকে কোন পরামর্শের প্রয়োজন হয় তাহলে চরফ্যাশন প্রানী সম্পদ অধিদপ্তর সবসময় তাদের সহযোগিতা করবে।
Recent Comments