চরফ্যাশনের হাজারিগন্জ ইউনিয়নে এক গ্রামীণ উঠানে অনুষ্ঠিত হলো নারীদের প্রজনন স্বাস্থ্য নিয়ে বিশেষ উঠান বৈঠক। মূল আলোচ্য বিষয় ছিল— পিসিওএস বা পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম, যা দেশের অসংখ্য নারী ও কিশোরীর একটি সাধারণ কিন্তু অবহেলিত স্বাস্থ্য সমস্যা।
পিসিওএস হচ্ছে হরমোনজনিত একটি অবস্থা, যেখানে ডিম্বাশয়ে ছোট ছোট সিস্ট তৈরি হতে পারে এবং মাসিক চক্রের অনিয়ম দেখা দেয়। অনেক সময় বাড়তি লজ্জা ও অজ্ঞতার কারণে মেয়েরা এসব সমস্যা কাউকে জানায় না।
সময়মতো চিকিৎসা নিলে এটা সহজেই নিয়ন্ত্রণ করা যায়। মাসিক অনিয়মিত থাকা, অতিরিক্ত ব্রণ, চুল পড়া বা ওজন বেড়ে যাওয়া এসব লক্ষণ দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার।
বৈঠকে জানানো হয়, নিয়মিত হাঁটা, স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, কম তেল–কম চিনি গ্রহণ, মানসিক চাপ কমানো এসব অভ্যাস পিসিওএস নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বিশেষ করে কিশোরী মেয়েদের স্বাস্থ্য নিয়ে পরিবারে উন্মুক্ত আলোচনা জরুরি।
অংশগ্রহনকারী এসব রোগের কথা আগে শুনেননি বলে জানান। কোন সমস্যা হলে লজ্জায় ডাক্তারের কাছে গিয়ে বলা লজ্জার মনে করতেন।
লজ্জা ও কুসংস্কার ভেঙে নারীদের নিজস্ব স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন অনেক বেশি জরুরি ।