তেলাপিয়া বর্তমানে দেশের মৎস্য চাষে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। স্থানীয় বাজারে এ মাছের উচ্চ চাহিদা ও বাজারমূল্যের কারণে খামারিদের আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে। প্রাকৃতিক খাবার গ্রহণের সক্ষমতা, সম্পূরক খাবারে দ্রুত বৃদ্ধি, এবং প্রতিকূল পরিবেশে টিকে থাকার ক্ষমতার জন্য তেলাপিয়া এখন চাষিদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় বলেন, চরফ্যাশন উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা জয়ন্তু কুমার অপু।
তিনি জানান—
মনোসেক্স তেলাপিয়া চাষ ব্যবস্থাপনা সহজ এবং উৎপাদন বেশি। এ ধরনের মাছ শুধুমাত্র পুরুষ হওয়ায় প্রজনন না হওয়ায় পুকুরে বাচ্চা জন্মায় না, ফলে চাষে কোনো বিঘ্ন ঘটে না। সম্পূরক খাবার ব্যবহার করে অধিক ঘনত্বে চাষ করা যায় এবং দুই ধাপে—নার্সারি ও মজুদ পুকুরে—চাষ করলে কম সময়ে বেশি উৎপাদন পাওয়া সম্ভব।
নার্সারির জন্য দেড় থেকে চার ফুট গভীরতার পুকুর সবচেয়ে উপযোগী। পুকুরের পাড় মজবুত, বন্যামুক্ত, জলজ আগাছামুক্ত এবং পর্যাপ্ত সূর্যালোকপূর্ণ হওয়া জরুরি। দেশের জলবায়ু তেলাপিয়া চাষে সহনশীল হওয়ায় একই পুকুরে বছরে দুইবার মনোসেক্স তেলাপিয়া চাষ করা যায়।
মৎস্য কর্মকর্তা আশা প্রকাশ করেন—
চাষ পদ্ধতি ও উৎপাদন ব্যবস্থার আরও উন্নয়ন করা গেলে ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক বাজারেও বাংলাদেশ তেলাপিয়া মাছ দিয়ে শক্ত অবস্থান তৈরি করতে পারবে।