মৎস্যজীবিদের জীবন চলছে অনিশ্চয়তায়, কেননা মেঘনায় মাছ আহরণ করতে জোয়ার-ভাটার উপর নির্ভর করে নদী থেকে সাগরে আসা-যাওয়া করেন মেঘনার জেলোরা। গত ২০ মে থেকে সমুদ্রে চলছে ৬৫ দিনের অবরোধ। তাই সমুদ্রগামী মৎস্যজীবিরা অবরোধ থাকার কারনে মাছ শিকার থেকে বিরত রয়েছেন। এদিকে নদীতে মাছ ধরার সকল মৎস্যজীবিরা মাছ শিকার করতে না গিয়ে নদীর পারে বসেই জাল বুনোনের কাজ করছেন। ইলিশসহ নদীর অন্যসব মাছের আকালে কর্মহীন হয়ে পড়েছে বেতুয়া নতুন সুলিজ হামিদপুর ৪নং ওয়ার্ডের মৎস্যজীবিরা।
কথা হয় আরো একজন জেলে মো: হাসান মিয়ার সাথে। প্রায় ষোল থেকে সতেরো বছর যাবৎ জেলে পেশায় নিয়োজিত। দেখা যায়, একটি মাছ ধরার বোটে ১৫-২০ জন ভাগিদার রয়েছেন। মাছের পরিমান কম থাকায় নদীতে যেতে হলে তাদের যে অর্থ খরচ করতে হয় সেই খরচ তারা পুষিযে আনতে পারে না। গত কাল মাছ ধরতে গিয়ে মাত্র তিন থেকে চার হালি ইলিশ ধরা পড়েছে। অন্যদিকে সামনে আসছে ঈদ-উল আযহা। নদীতে মাছ না থাকায় ঈদ আনন্দ কাটতে ঋন করাই একমাত্র উপায় বলে জানান মৎস্যজীবি মোতালেব সহ আরো অনেকেই।
চরফ্যাসন উপজেলা সিনিয়র মৎস্যকর্মকর্তা জনাব, মারুফ হোসেন মিনার জানান, বর্তমান সময়ে নদীতে ইলিশের পরিমান কম। তবে আষাঢ় মাসের বৃষ্টি শুরু হলে আশানুরুপ ইলিশ পাওয়া যাবে বলে আশা করা যায়।
রেডিও মেঘনার সাপ্তাহিক অনুষ্ঠান ‘জেলেজীবন ও প্রাকৃতিক দূর্যেোগ’। অনুষ্ঠানটি প্রচারিত হয়েছে বৃহঃস্পতিবার বিকেল ০৫:৪০ মিনিটে। শুধুমাত্র ৯৯.০ এফএম এ।
উপস্থাপনায় ও সম্পাদনায় লাবনী হোসেন। প্রযোজনায় মৌসুমী মনীষা।