ইলিশের প্রজনন রক্ষায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে শত শত জেলে ছুটছে এখন মেঘনা নদীতে। ইলিশ মাছ কম পাওয়া গেলেও জালে ধরা পড়ছে প্রচুর পোয়া মাছ ও পাঙাশ মাছ। বড় সাইজের প্রতিটি পাঙ্গাশ বিক্রি হচ্ছে ৫ থেকে ৬ হাজার টাকায়। বেতুয়া নতুন সুল্লইজ মৎস্যঘাটের মৎস্যজীবী মো: আকতার মাঝি ও আবদুল জব্বার বেপারী জানান, “সাত দিনের জন্য চল্লিশ হাজার টাকা খরচ করে নদীতে গিয়ে দেখা গেছে যে ষাট থেকে সত্তর হাজার টাকার মাছ বিক্রি করতে পারবো। খরচের টাকা বাদ দিয়ে নৌকায় দশ জন ভাগিদারের সামান্য ইনকাম হবে।”
চরফ্যাশন উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা জনাব মারুফ হোসেন মিনার বলেন, প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরও প্রধান প্রজনন মৌসুমে জাতীয় মাছ ইলিশ গত ১২ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত আহরণ, পরিবহণ, ক্রয়-বিক্রয় এবং অধিকারে রাখা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ছিল। প্রধান প্রজনন মৌসুমে চরফ্যাশন উপজেলার ট্রাসপোর্স কমিটি খুব সুন্দর ও সুশৃঙ্খলভাবে মোবাইলকোর্ট ও অবরোধ সম্পন্ন করেছে। ২ নভেম্বর মধ্যরাত থেকে মৎস্যজীবীগণ মাছ ধরতে শুরু করেছে। ইলিশ মাছ ডিম দেয়ার পরে আর নদীতে থাকে না পুনরায় সমুদ্রে চলে যায়। এখন নদীতে পর্যাপ্ত পরিমাণে পোয়া মাছ পড়ছে এর মানে দাঁড়ায় নদীতে ইলিশ মাছ পর্যাপ্ত ডিম দিয়েছে। পোয়া মাছ ইলিশের ডিম নিয়ে জীবন ধারণ করে। তবে আগামি ডিসেম্বরের শেষের দিকে অথবা জানুয়ারীতে ইলিশ মাছ সমুদ্র থেকে নদীতে খাবার খাওয়ার জন্য আসলে স্থানীয় মৎস্যজীবীগন আশা করা যায় ইলিশ মাছ পাবে।
জেলে জীবন ও প্রাকৃতিক দূর্যোগ পাক্ষিক এ অনুষ্ঠানটি আপনারা শুনতে পান প্রতি মাসের প্রথম ও তৃতীয় সপ্তাহের বৃহস্পতিবার বিকাল ০৫:৪০ মিনিটে। অনুষ্ঠানটির প্রজযনায় ছিলেন মৌসুমী মনিষা, উপস্থাপনায় ছিলেন লাবনী হোসেন। শুনতে কান রাখুন রেডিও মেঘনা ৯৯.০ এফ এম এ।
Recent Comments