ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ে উঠতি আমন ধানসহ ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। চরফ্যাসনের নিন্মমাঞ্চলে পানি জমে ফসল তলিয়ে যাওয়ায় চোখেমুখে অন্ধকার দেখছেন কৃষকরা। আর কিছুদিনের মধ্যে অধিকাংশ ফসল আধাপাকা হয়ে উঠতো। আবার অনেক কৃষকের ধানের ফুল আসতো। ঠিক এসময়ে ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পরতে হয়েছে কৃষকের সোনালী স্বপ্ন। আমন ধান, মাস-কালাই, ভুট্টা, আগাম শীতকালীন শাক-সবজির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, গেলো দুই দিনে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে চরফ্যাশনে উঠতি রোপা আমন ক্ষেতে পানির নিচে সোনার ফসল। অনেকেই জমির ফসল পানির নিচেই পচে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এমতাবস্থায় সরকারী সহযোগিতার দাবি কৃষকদের।
খেজুর গাছিয়া এলাকার কৃষকরা জানান, টমোটো, বেগুন, পেঁপে ও কলা গাছ সব ভেঙে গেছে। যে গুলো কাত হয়ে আছে, সেগুলোও বাঁচার সম্ভাবনা নাই।
এদিকে আমন চাষিরা বলছেন, আমন ধানের ফসল পানিতে প্রায় ডুবে গেছে। যদি পানি কমে, তাহলেও বেশি ভাগ ধান অপুষ্ট হবে। হঠাৎ এ ঘূর্ণিঝড়ে আমার সব ধানই পানির নিচে তলিয়ে গেছে। সবই তলিয়ে গেছে। তাই সরকারী সহযোগিতা হলে আমরা ঘুরে দাড়াতে পারবো।
চরফ্যাসন উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর থেকে জানা যায়, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং প্রভাবে অনেক কৃষকের ফসল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কিন্তু কি পরিমাণ হয়েছে তা এখনও বলা যাচ্ছে না। ক্ষয়-ক্ষতি নিরুপনে কাজ করছে কৃষি বিভাগ। দু-একদিনের মধ্যেই পুরাপুরি ক্ষয়ক্ষতির তথ্য পাওয়া যাবে।
মৌসুমী মনীষা
রেডিও মেঘনা-চরফ্যাসন।