রাত পোহালেই পবিত্র ঈদুল ফিতর। তাই শেষ সময়ে ভিড় বেড়েছে চরফ্যাসনের মসলার বাজারে। পোশাকের পর এবার মানুষ ছুটছে সেমাই, দুধ, চিনির বাজারে। সাধারণত সেমাই ঈদের একটি অন্যতম অনুষঙ্গ। অতিথি আপ্যায়নে কমবেশি সবার ঘরেই বিভিন্ন ধরনের খাবারের সঙ্গে থাকে সেমাই, ফিরনিসহ অন্যান্য আয়োজন। সেমাই কিনতে দোকানে চোখে পরে ক্রেতাদের ভিড়।ফলে জমজমাট হয়ে উঠেছে খাদ্যপণ্যের বাজার।
ভোক্তারা ঈদের সেমাই, চিনি, ঘি, পোলার চাল, গরম মসলা কেনাকাটা করছে,এবার রাশিয়া ইউক্রোনের যুদ্ধের কারণে বেড়েছে জাল্বানী ও ভোজ্য তেলের দাম। সরাসরি পন্য পরিবহনেরও এর প্রভাব পরেছে। তাই এবার সেমাইয়ের দাম বেড়েছে কেজিতে ৭-৮ টাকা।
সোমবার (২ মে ) চরফ্যাসন বাজারে গিয়ে দেখা যায়, লাচ্ছা সেমাইয়ের দোকানগুলোতে বিক্রি জমে উঠেছে। বাজারে খোলা সাদা লাচ্ছা সেমাই কেজি ১৬০ টাকা,লাল লাচ্চা সেমাই ৭০ টাকা,প্যাকেটজাত লাচ্ছা সেমাই ৪০ থেকে ৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে এবং চিনির কেজি ৮০ টাকা। আর দুই লিটার তেল বিক্রি হচ্ছে ৩৮০ টাকায়।
মুদি দোকানি ও খুচরা বিক্রেতা, সাদেক, সাহাবুদ্দিন এর সাথে আলাপ কালে জানান, রমজানের শেষে ঈদকে সামনে রেখে সেমাই, নুডোল্স, চিনি ও মসলা ছাড়াও গুঁড়ো দুধ, ঘি, সয়াবিন তেল, নারকেল, সুগন্ধি চাল, কিসমিস, বাদাম, কাজু বাদাম, পোস্তা বাদামসহ বিভিন্ন আইটেমের পণ্য বিক্রি করছেন তারা। ২৬ রমজান থেকেই বেচাকেনা দ্বিগুণ বেড়েছে। তবে বাজারে নিত্যপণ্য সব কিছুর দাম স্বস্তি থাকলেও সয়াবিন তেলের দাম উর্ধ্বমূখি এবং তেলের দাম বেশি হওয়াতে এবার সেমাইয়ের দাম কেজিতে ৭-৮ টাকা বেড়েছে । ক্রেতাদের চাহিদাও বেশ ভালো রয়েছে বাজারে।
অন্য দিকে নিত্যপণ্য ক্রেতারা বলছেন, গত বছর করোনার জন্য তেমন ভালো করে ঈদ উদযাপন করতে পারেননি আর সব কিছুর দামও ছিলো চড়া। কিন্তু এবার ঈদের বাজারে সব নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় আছে তবে তেলে দামটা খুব বেশি এজন্য কিছুটা অসস্তি হচ্ছে। তেলের দাম বাড়ার কারনে সেমাইয়ের দামটা একটু বেড়েছে কিন্তু এই সামান্য দাম বাড়াতে কোনো সমস্যা হচ্ছে না।
সুরভী ও মৌসুমি মনীষা
রেডিও মেঘনা, চরফ্যাসন।