চরফ্যাসনে আলুু তুলতে শুরু করেছেন কৃষকরা।এবার আবহাওয়া ভালো থাকায় আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। বর্তমানে আলুর দাম কম হওয়ার কারনে হতাশায় আছেন অনেক কৃষকরা। আলুর চাষ ভালো হয়েছে কিন্ত দাম পাচ্ছে না ঠিক মত।
কৃষক মো: জাকির হোসেন বলেন , ৪ একর জমিতে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা খরচ করে আলু চাষ করেছেন। আলু উত্তোলনের কাজে যারা কাজ করছে তাদের প্রতিদিন একজনকে দিতে হয় ৭০০ টাকা করে। আলুর বাম্পার ফলন হলেও বর্তমান ১৮ থেকে ২০ টাকা বিক্রি করলে লাভের চাইতে লোকসান বেশি হয়। কীটনাশক থেকে শুরু করে সকল কিছুর দাম বেশি । কৃষকদের মতে চরফ্যাসন উপজেলায় যদি কোল্ড স্টোরেজ থাকতো তাহলে মাঠ থেকে না বরং সংরক্ষণ করে বিক্রি করা যেতো। তিনি আরো জানান, আলুর পাশাপাশি বিভিন্ন রকমের সবজি,শসা,বেঙ্গুন এবং মাছ চাষও করেন।
কৃষকদের মতে চরফ্যাসন উপজেলায় যদি কোল্ড স্টোরেজ থাকতো তাহলে লোকসানে বিক্রি করা লাগতো না ।
চরফ্যাসন উপজেলার কৃষি অফিসার জনাব নাজমুন হুদা জানান, চরফ্যাসন উপজেলায় আলুসহ সারাবছর ফসল আবাদ হয়। সবজি সংরক্ষণের কোন কোল্ড স্টোরেজ না থাকায় কৃষকরা সঠিক মুল্য পায় না। এক মাসের জন্য হলেও যদি কোল্ড স্টোরেজে সকল ধরনের সবজি সংরক্ষণ করা হয় তাহলে কৃষকরা সঠিক মূল্য পেতে পারে।
তিনি আরো বলেন, চরফ্যাসন উপজেলায় যেহেতু ফসল বেশি হয় সেহেতু সরকারের প্রতি অনুরোধ রইল চরফ্যাসন উপজেলায় যেনো একটি কোল্ডস্টোরেজ ব্যবস্থা করা হয়।
কৃষি কর্মকর্তা আরো বলেন , কৃষকরা যদি আলু নিজে থেকে সংরক্ষন করতে চায় তাহলে আলু উত্তোলনের এক সপ্তাহ আগে আলু গাছ কেটে ফেলে আলু মাটির নিচে রাখে তাহলে আলুর যে ত্বক তা শক্ত হবে। এছাড়া আলো-বাতাস চলাচল করে এমন স্থানে যদি আলু এক ফুট উঁচু করে রাখে এবং প্রতিদিন আলু উল্ট পাল্ট করে দেয় তাহলে ৩ থেকে ৪ মাস সংরক্ষণ করতে পারবে।