পড়াশোনার ইচ্ছে থাকলেও পরিবারের আর্থিক অনটনের কারনে চরফ্যাসনের দূর্গম চরাঞ্চলের কন্যা শিশুরা শিকার হচ্ছে বাল্যবিবাহের, এতে শিক্ষা থেকে ঝড়ে পড়াসহ জড়িয়ে যাচ্ছে পারিবারিক নানান সহিংসতায়।
চরফ্যাসনের অধীনে রয়েছে জনবসতিপূর্ণ চর। এই চরাঞ্চলে পারিবারিক অস্বচ্ছলতা ও অসচেতনতার কারনে বাল্যবিবাহের শিকার হচ্ছে কন্যা শিশুরা। আবার অকালেই হয়ে যাচ্ছে সন্তানের মা। এর ফলে হারিয়ে যাচ্ছে শারীরিক গঠন, স্বাস্থ্যঝুকিতে রয়েছে মা ও শিশু।
চর ফকিরা এলাকার বাল্যবিহের শিকার কিশোরী আকলিমা, আঁখি বলেন, পরিবারে অভাবের কারনে লেখাপড়ার ইচ্ছা থাকা সত্বেও বাল্যবিবাহ করতে হয়েছে তাদের। বিয়ের পর থেকেই শুরু হয়েছে নানান ধরনের শারীরিক নির্যাতন,অনেকের ক্ষেত্রে ঘটছে বিবাহ বিচ্ছেদ।
এছাড়া পূর্বচর মাদ্রাজ ও হাজারিগঞ্জের বাল্যবিবাহের শিকার ফাহিমা,সারমিন বলেন, অল্প বয়সে বিবাহ করে পারিবারিক চাপে পরে বাধ্য হয়েছেন সন্তানের মা হতে, ফলে সন্তান সহ নিজেও ভুগছে অপুষ্টিতে এবং অভাবের কারণে ডাক্তার দেখাতে না পারায় অন্তঃসত্বা হয়ে অকালে হারাচ্ছে শিশু। এতে বাড়ছে শিশু মৃত্যুর হার।
বাল্যবিবাহের শিকার হওয়া পরিবারের অভিবাবকরা জানান, জেলে ও কৃষি পেশা দিয়ে সংসার খরচ চলাতেই কষ্ট। পরিবারের আর্থিক অভাবের কারণে লেখাপড়া না করিয়ে বাল্যবিবাহ অপরাধ যেনেও মেয়েদের অল্প বয়সেই বিয়ে দিয়ে দিয়েছেন।
এব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ মহিউদ্দিন বলেন, চরাঞ্চলের বেশিরভাগ পরিবারের ছেলেও কন্যা শিশুরা আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে বাল্যবিবাহের ফলে শিক্ষা থেকে ঝড়ে পড়ছে। শিক্ষা ব্যবস্থায় সরকার বেশ উন্নয়ন করছে। যাতে নারী শিক্ষা অগ্রগতি বাড়াতে এবং বাল্যবিবাহ ঠেকাতে ব্যাপক প্রচার প্রচারণা করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানান।
সুরভী ও মৌসুমী মনীষা
রেডিও মেঘনা-চরফ্যাসন।