নদীর ঢেউয়ের সাথে খেলা করে বেড়ে ওঠেন চরফ্যাশন উপজেলার ফাহিমা বেগম (৩০)। প্রাকৃতিক দুর্যোগের সাথে ছোট থেকেই পরিচিত ফাহিমা। ভাগ্যক্রমে বিয়েও হয় বেড়ীর পার। তিনি জানান, নদীর খুব কাছে ঘর হওয়ায় অনেক ভোগান্তির শিকার হয় ঘূর্ণিঝড় হলেই বাড়ি ভাঙ্গতে দেখেছেন বহুবার। দারিদ্রতার কারণে ঘরে বিদ্যুৎ টিভি নেই। ছোট একটি বাটন ফোনে মাঝে মাঝে শোনেন রেডিও মেঘনা।
কাজের ফাঁকে বিনোদনের সাথে শোনেন দুর্যোগে ক্ষতি থেকে রক্ষা পাওয়ার তথ্য। শুনতে শুনতে ধীরে ধীরে তার মধ্যে পরিবর্তন আসে। তিনি বলেন দুর্যোগের সময় আগে থেকে ঘর ভালো মতো মেরামত বা বেঁধে রাখলে ভেঙ্গে পড়ার সম্ভাবনা কম থাকে। এমন তথ্য শুনে নিজের সাধ্যমত চেষ্টা করছেন ঘরকে মজবুত রাখতে। বাতাস হলেই ঘরের আসবাপত্র বেঁধে রাখেন ফাহিমা। এখন জানেন কোন সর্তক সংকেতের সময় ঘরে থাকেবেন আর কখন আশ্রয় কেন্দ্রে যাবেন। আগের তুলনায় দূযোগে ক্ষতির পরিমান কমতে থাকে তার। রেডিও মেঘনার দুর্যোগ বিষয়ে অনুষ্ঠান তার অনেক উপকারে আসে বলে ধন্যবাদ জানান।