বঙ্গোপসাগরের মোহনায় মাছ ধরতে গিয়ে হঠাৎ ঝড়ের কবলে পড়ে চরফ্যাসনের অন্তত: ১৩ ফিশিং ট্রলার। এতে প্রায় ৬০ জন মৎস্যজীবীর নিখোঁজের খবর পাওয়া যায়। শুক্রবার ১৯ আগস্ট গভীর রাতে এই ঘটনা ঘটে।
জানাযায়,কোস্টগার্ড পুলিশও স্থানীয় মৎস্যজীবি,অন্য ট্রলার এর সহযোগিতায় গতকাল শনিবার নিখোঁজ মৎস্যজীবিদের সন্ধান পেলে জীবিত উদ্ধার করে চরমন্তাজ, পটুয়াখালীর মহিপুর, পাথরঘাটাও সুন্দরবন এলাকা নিয়ে আসে। উদ্ধারকৃত জেলেদের নিরাপদে বাড়িতে নিয়ে আসতে কাজ করছে ট্রলার মালিকরা।
চরফ্যাসনের সামরাজ ও মাইনুদ্দিন মৎস্যঘাটে গিয়ে জানা যায়, আবু মাঝির দুইটি ট্রলারের ৪০ জন, জামাল মাঝির ১২ জেলে,বাবুল মাঝির ১২ জেলের সন্ধান পাওয়া যায়। তবে এখানো কয়েকটি ট্রলারসহ বেশ কিছু মৎস্যজীবির সন্ধান মেলেনি। এদের উদ্ধারে ট্রলার মালিক, কোস্টগার্ড ও প্রশাসন তৎপর রয়েছে বলে জানান সামরাজ ঘাটের মৎস্য আড়ৎদাররা।
পুরান সামরাজ মাইনুদ্দিন এলাকার আবু মাঝির ট্রলারে থাকা নিখোজেঁর দুইদিন পর সন্ধান পাওয়া আব্বাস মাঝি ও জামাল মাঝির পরিবার বলেন, ঝড়ের এই দূর্ঘটায় তাদের স্বামী ও সন্তান নিখোজঁ হওয়া শোকাহত ছিলেন তারা, তবে এখন নিখোজঁ মৎস্যজীবিদের জীবিত সন্ধান পাওয়ার খবরে পরিবারে শান্তি ফিরেছে।
এদিকে আবু মাঝি ফোন কলে বলেন, তার দুইটি ট্রলারের মাঝিমাল্লা সহ ৪০ জনের মধ্যে ৩৯ জনের সন্ধান পেলেও ১ জন নিখোঁজ রয়েছে। সন্ধানকৃত মৎস্যজীবিদের নিরাপদে বাড়িতে নিয়ে আসতে কাজ করছে পাথরঘাটা গিয়েছেন। এরমধ্যে উদ্ধারকৃত মৎস্যজীবিদের সবাই জীবিত উদ্ধার হলেও আবু মাঝির ১টি ট্রলার এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মারুফ হোসেন মিনার বলেন, ঝড়ের কবলে ডুবে যাওয়া বেশিরভাগ ট্রলারের জেলে জীবিত উদ্ধার হয়েছে। এখন আবহাওয়া ভালো ও নদী শান্ত থাকায় উদ্ধার কৃত মৎস্যজীবিরা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে শুরু করেছে স্বজদের কাছে। যারা এখনো নিখোঁজ তাদের উদ্ধার অভিযান চলমান।
সুরভী ও মৌসুমী মনীষা
রেডিও মেঘনা-চরফ্যাসন।