রাতকানা রোগ এক ধরণের দৃষ্টি প্রতিবন্ধকতা । রাতকানা রোগে ভুক্তভোগী রোগীরা রাতে বা অস্পষ্ট আলোকিত পরিবেশে দুর্বল দৃষ্টিভঙ্গি অনুভব করে। চরফ্যাশন এওয়াজপুর এলাকার ফারজানা বেগম (৩৫), চার সন্তানের ভিতরে দুই সন্তান প্রতিবন্ধী হয়েছে, দুই সন্তানকে কে নিয়ে কষ্টের দিন পার করছে ফারজানা বেগম। বড় মেয়ে ছোট বেলা থেকেই চোখের সমস্যা ডাক্তারের কাছে গেলে ডাক্তার জানান রাতকানা রোগের কারনে চোখের সমস্যা হয়েছে। স্বামি ও বড় ছেলের রোজগারে সংসার চলে। মেয়ের রাতকানা রোগের কারণে তাকে অনেক বার ডাক্তার দেখালেও ভালো হয়নি। মেয়েদের কিছুটা সহযোগিতা হয় ভাতা পেয়ে, এমনটাই জানান ফারজানা বেগম।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার মাহবুব কবির বলেন, যদি কোন শিশু রাতকানা রোগে আক্রান্ত থাকে তাহলে মা কে ভিটামি এ খেতে হবে, এবং পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে, এই রোগে অপেক্ষাকৃত স্বল্প আলোয় দেখা প্রায় অসম্ভব। এটা আসলে কতিপয় চোখের রোগের উপসর্গ। কারো ক্ষেত্রে জন্ম থেকে এই সমস্যা থাকে, এছাড়া চোখে আঘাত বা অপুষ্টির কারণে (যেমন ভিটামিন এ- এর অভাবে) এই সমস্যা হতে পারে। রাতকানা রোগে স্বল্প আলো বা অন্ধকারে চোখের অভিযোজন ক্ষমতা হ্রাস পায় বা নষ্ট হয়ে যায়। যদিও “রাতকানা রোগ” শব্দটি বোঝায় যে আপনি রাতে দেখতে পাচ্ছেন না, এটি এমন নয়। রাতকানা রোগের সমস্যার কারণে আপনার অন্ধকারে দেখতে বা গাড়ি চালানোতে সমস্যা হতে পারে। কিছু ধরণের রাতকানা রোগ চিকিৎসাযোগ্য এবং অন্য ধরণের নয়। আপনারা দৃষ্টি প্রতিবন্ধকতার কারণ নির্ধারণ করতে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন। আপনি সমস্যার কারণটি জানতে পারলে আপনি আপনার দৃষ্টি সংশোধন করতে পদক্ষেপ নিতে পারেন।
প্রচারিত হয় রেডিও মেঘনার সাপ্তাহিক অনুষ্ঠান “ধীমান”। শুনুন প্রতি শুক্রবার সকাল ৯:২৫ মিনিটে। শুধু মাত্র ৯৯.০ এফএম এ। অনুষ্ঠানটির উপস্থাপনায় ফাতেমা জাহান, সম্পাদনায় জেসমিন।