দ্বীপ জেলা ভোলার চরফ্যাশনের অধীনে জনবসতিপূর্ণ চর ফকিরা, চর কুকরি মুকরি, চর পাতিলা, চর লিউলিনসহ ছোট-বড় প্রায় ১১টি চর মূল ভূ-খন্ড থেকে একেবারেই বিচ্ছিন্ন। এই দূর্গম চরাঞ্চলে পারিবারিক অস্বচ্ছলতা ও অসচেতনতার কারণে বাল্যবিবাহের শিকার হচ্ছেন কন্যা শিশুরা এবং প্রাথমিকের পাশাপাশি মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা থেকেও ঝরে পড়ছে।
খেজুর গাছিয়া এলাকায় বাল্যবিবাহের শিকার কিশোরী আকলিমাও রুমার সাথে কথা বলে জানা যায়, পরিবারে অভাবের কারনে লেখাপড়ার ইচ্ছা থাকা সত্বেও বাল্যবিবাহ করতে হয়েছে তাদের। নিজেদের স্বপ্ন অপূর্ণ রেখেই জীবনযাত্রা চালিয়ে যাচ্ছে।
অভিবাবক ফারুক মিয়া জানান, জেলে ও কৃষি পেশা দিয়ে সংসার খরচ চলাতেই কষ্ট। পরিবারের আর্থিক অভাবের কারণে লেখাপড়া না করিয়ে বাল্যবিবাহ অপরাধ যেনেও কিশোরীদের অল্প বয়সেই বিয়ে দিয়ে দিয়েছেন
চর কলমি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক আলাউদ্দিন বলেন, করোনাকালীন সময়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় বাল্যবিবাহের সংখ্যাটা বেড়েছে। ৬ষ্ঠ-১০ম শ্রেনীর অনেক মেয়ে শিক্ষার্থীরা শিক্ষা থেকে ঝড়ে পড়েছে। মেয়েদের পাশাপাশি ছেলে শিশুর্ওা জড়িয়ে পড়েছে শিশু শ্রমের সাথে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো: মহিউদ্দিন জানান, বর্তমান সরকারের নানান অনুদানের জন্য শিক্ষার মান বেড়েছে। তবে চরাঞ্চলের আর্থিক অস্বচ্ছলতা নদী ভাঙ্গন ও করোনা কালীন সময়ে বাল্যবিবাহ বৃদ্ধি সাথে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা থেকে পিছিয়ে পড়েছে। নারী শিক্ষা সচল করাসহ বাল্যবিবাহ যাতে বন্ধ হয় সেইজন্য সর্বদা ততপর আছেন।
চরফ্যাসন থানার উপ-পরিদর্শক ইয়াসিন পাইক জানান, আগের থেকে বাল্যবিবাহের হার কম এবং শিক্ষার মানও ভালো কিন্তু মূল বখন্ট থেকে বিছিন্ন চরাঞ্চলের মানুষরা অসচেতনতার জন্য বাল্যবিবাহ দেয়। তবে কোথাও কোনো বাল্যবিবাহ হওয়া ঘটনা ঘটলে উপজেলা প্রশাসন থেকে তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
সুরভী।
রেডিও মেঘনা,চরফ্যাসন।