বিদেশী ফল ড্রাগণ চাষে আগ্রহ বাড়ছে চরফ্যাসন উপজেলার কৃষকদের। উপজেলার অনেকেই ড্রাগন চাষ শুরু করেছেন। ইতোমধ্যে ড্রাগন চাষে সফল হয়েছেন উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের ভাসানচর এলাকায় মামুন পন্ডিত।
শখের বশে ফসলী জমিতে এই ড্রাগন ফল চাষ করেন তিনি। ইউটিউব এবং অনেকের ছাদ বাগানে চাষের পদ্ধতি দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে এই ড্রাগন ফল চাষ করেছেন বলে জানান মামুন।
সরেজমিনে দেখা যায়, ক্যাকটাস গাছের মতো দেখতে ড্রাগনের সবুজ গাছগুলো বেড়ে ইতোমধ্যে সিমেন্টের খুঁটির মাথা ছুঁই ছুঁই করছে। ড্রাগন চাষের জন্য আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় প্রায় দেড় বছরের মাথায় ড্রাগনের চারাগুলো বেশ পরিপক্ব হয়ে ফুল আর ফলে ভরে গেছে খামার।
ড্রাগন ফলের চাষি মামুন পন্ডিত বলেন, ১৬ শতাংশ জমিতে প্রায় ৫৪০টি ড্রাগন গাছ লাগিয়েছেন প্রায় ৪ লাখ টাকা খরচ করে। প্রত্যেকটি গাছই এখন ফুলে ফলে ভরা। তবে এখনো খরচ পুষিয়ে না উঠলেও ইতোমধ্যে প্রায় এক মণের বেশি ড্রাগন ফল প্রতি কেজি ৪০০ টাকা থেকে ৬০০ টাকা দরে বিক্রি করেছেন।
এছাড়াও মামুন পন্ডিত আরো বলেন, অন্য ফসলের পাশাপাশি ড্রাগন চাষে অধিক লাভজনক হওয়ায় এলাকার বেকার যুবকরা এই ড্রাগন ফল চাষ করে বেকারত্ব দূর করতে পারবে বলে জানান তিনি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু হাসনাইন বলেন, এখানকার মাটি এবং আবহাওয়া ড্রাগন চাষের জন্য বেশ উপযোগী হওয়ায় কৃষিতে ড্রাগন চাষে নতুন সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে। চরফ্যাশন উপজেলায় দুই একর জমিতে ড্রাগন চাষ হয়েছে। এর মধ্যে অধিকাংশ ছাদ বাগানে চাষ হয়েছে। পুষ্টিগুণ, আকার-আকৃতি ও দামের কারণে বাজারে এই ফলের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।
মৌসুমী মনীষা ও সুরভী
রেডিও মেঘনা-চরফ্যাসন।