মেঘনায় আগের মত আর পাওয়া যাচ্ছেনা কাঙ্খিত ইলিশ। তীব্র শীতের কারণে মৎস্যজীবীরা নদীতে মাছ শিকার করতে পারছেন না। আর তাই দেশি মাছের বিভিন্ন আড়ত ও বাজারে কমে গেছে মাছের সরবরাহ। বেড়েছে দামও। তীব্র শীতে মাছ শিকার বন্ধ হয়ে আর্থিক সংকটে পড়েছে মৎসজীবীরা।
উপজেলার খেজুর গাছিয়ার মৎস্যজীবী মোঃ হাসান ও নয়ন জানান, তীব্র শীতের কারণে তারা স্বাভাবিকভাবে মাছ শিকার করতে পারছে না। অন্যদিকে এ মৌসুমে যে পরিমাণ মাছ নদীতে পরার কথা ছিলো, তাও পরছে না। তবে এটা সাময়িক, শীতের তীব্রতা কমে গেলে মাছের সরবরাহ বেড়ে যাবে। সেই সময়ের অপেক্ষায় রয়েছেন তারা।
অন্য মৎসজীবীরা জানান, মাছ বিক্রি করে সবাই সচ্ছলভাবে জীবনযাপন করত। কিন্তু গত কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে তাদের পকেট শূন্য। মাছ শিকার করেতে না পারায় আর্থিক সংকটে পড়েছে মৎস্য সম্প্রদায়। আর তাই অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে তাদের জীবন ও জীবিকা।
চরফ্যাসন উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মারুফ হোসেন মিনার জানান, শীত ও কুয়াশায় কাহিল জেলে সম্প্রদায়ের জীবন। এ অবস্থায় তারা গভীর নদীতে মাছ আহরণ করতে না পারায় আর্থিক সংকটে পড়েছে। সেই সঙ্গে বাজারে দেশি মাছের সরবরাহও কমে গেছে।
অন্যদিকে নদীতেও মাছ পরছে না। ফলে মাছ শিকারি ও ব্যবসায়ী দুপক্ষই আর্থিক ক্ষতির মধ্যে আছে। আবহাওয়া অনুকূল হলে অবস্থার পরিবর্তন হবে বলে তিনি মনে করেন।
অধরা ইসলাম ও মৌসুমী মনীষা
রেডিও মেঘনা-চরফ্যাসন।