আসন্ন কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে ভোলার চরফ্যাসন উপজেলায় ২৭টি পশুর হাট বসেছে। তার মধ্যে অন্যতম চরফ্যাসন সদর পশুর হাট। ইতোমধ্যে চরফ্যাসনের বিভিন্ন হাটে উঠতে শুরু করেছে কোরবানীর পশু। সাড়ে ১৫ হাজার গরু, মহিষ, ছাগল-ভেড়া বিক্রির জন্য প্রস্তত রেখেছে চাষী ও খামারীরা। পশুর হাট ঘিরে নিরাপত্তাব্যবস্থা, নির্বিঘ্নে যাতায়াত, জালনোট শনাক্তকরণ মেশিনসহ ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট হাট কর্তৃপক্ষ।

কিন্তু এবছর কোরবানীর পশু বেচা-কেনা অনেকাংশে কম লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ক্রেতার সমাগম তেমন নেই বললেই চলে।
শনিবার (১৭ জুন) চরফ্যাসন পশুর হাট ঘুরে দেখা যায়, রাস্তার পাশে সারি সারি বাঁশের খুঁটি বসিয়ে গরু বাঁধার স্থান তৈরি করা হয়েছে। বিক্রেতারা তাদের পশু নিয়ে আসতে শুরু করছেন। এমনিতে ঈদের দুই-তিনদিন আগে থেকে কোরবানির পশুর হাট জমজমাট হয়। এর আগে ভিড় থাকলেও ক্রেতার সংখ্যা কম থাকে।

ক্রেতারা বলছেন, এবছর কোরবানীর পশু অনেক দাম, বিভিন্ন হাট ঘুরে সাধ্যের মধ্যে পছন্দের পশুটি ক্রয় করতে একহাট থেকে অন্য হাটে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে এবছর পশু খাবারের দাম বাড়ায় বিক্রিযোগ্য পশু দাম বেশি বলে জানান ক্রেতারা।

এদিকে বিক্রেতারা বলেন, গো-খাদ্যের দাম অনেক বাড়তি। ভুষিসহ বিভিন্ন খাবারের দাম বেড়েছে। এখনো তেমন বেচা কেনা বাড়েনি ভালো দামের আশায় বিভিন্ন হাটে পশু নিতে হচ্ছে।

উপজেলা প্রানী সম্পদ ভেটেরিনারী হাসপাতালে মেডিক্যাল টিম এ দায়িত্ব থাকা মোঃ ইব্রাহিম জানান, প্রতিবছরের ন্যায় এবারও ৬টি মেডিক্যাল টিম কোরবানীর পশু হাটে নিয়মিত পরিচালিত হচ্ছে। হাটে আসা পশু স্টোরেয়েড দিয়ে মোটাতাজা করণ পশু, অসুস্থ পশু চিহ্নিত করাসহ প্রচন্ড গরমে হীটস্টোক ঝুকিতে থাকা পশুকে তাৎক্ষনিক চিকিৎসা দেওয়ার জন্য নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়া চরফ্যাসনে চাহিদা পূরণের জন্য পর্যাপ্ত গরু রয়েছে বলে জানান তিনি।

সুরভী ও অধরা ইসলাম
রেডিও মেঘনা, চরফ্যাসন।