মৌসুমের প্রায় দুই মাস পর চরফ্যাশনের জেলেদেরে জালে ধরা পড়তে শুরু করছে রুপালি ইলিশ। এতে করে সরগরম হয়ে উঠছে চরফ্যাশনের মাছঘাটগুলো। সাগরে মৎস্যজীবিদের জালে মাছ পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে কিন্তু তা আকারে খুবই ছোট। পাইকারদের চাহিদা পূরণ না করতে পেরে খুবই বিপাকে রয়েছে মৎস্যজীবিরা। গত বেশ কয়েক দিন ধরে সাগর মোহনায় মৎস্যজীবিদের জালে ধরা পড়ছে আকারে ছোট ইলিশ আর তাই হতাশ খেজুরগাছিয়ার মাঝি নান্নু ও শফিক মিয়া ( ৪০)। নদীতে বড় মাছ নেই বলে পাওয়া যায় না এমনটাই ধারণা মৎস্যজীবিদের। মাছ ধরার পাশাপাশি কৃষি কাজ করেও সংসার চালায় নান্নু মিয়া। নিজে মৎস্যপেশায় জড়ালেও সন্তানদের পড়াশোনা করিয়ে ভালো কিছু করার স্বপ্ন তার। ভবিষ্যতে মৎস্য পেশা ছেড়ে অন্য কোন কাজ করতে চায় শরিফ মিয়া। জীবনের ঝুকি নিয়ে নদীতে মাছ ধরতে ভালো লাগে না তার।
মাছ ছোট দেখলেই সেটা জাটকা বলা যাবে না। ১০ ইঞ্চি বা ২৫ সে:মি: এর ছোট আকৃতির ইলিশের বাচ্চাকে জাটকা বলে এমনটাই বলেন উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মারুফ হোসেন মিনার। মৎস্যজীবিদের সচেতন করার জন্য বিভিন্ন প্রচার-প্রচারণা, লিপলেট, মাইকিং, ব্যানার ও বিল বোর্ড স্থাপনের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান তিনি। নদীতে এখন প্রচুর পরিমানে ইলিশ মাছ পাওয়া যাচ্ছে তার সাথে কিছু জাটকা মাছ ধরছে মৎস্যজীবিরা। আশা করা যাচ্ছে ফেব্রোয়ারী মাসে ইলিশের আকার বড় পাওয়া যাবে। সঠিকভাবে আমরা যদি জাটকার আকার সম্পর্কে সবাইকে জানাতে পারি তাহলে জাটকা বিষয়ক মানুষের এ ভুল ধারণাটা মুছে যাবে।
‘জেলে জীবন ও প্রাকৃতিক দূর্যোগ’ অনুষ্ঠানটি শুনুন প্রতি বৃহস্পতিবার বিকেল ৫:৪০ মিনিটে, রেডিও মেঘনা ৯৯.০ এফএমএ। অনুষ্ঠানটি প্রোযজনা এবং উপস্থাপনায় জেসমিন।