ভোলার চরফ্যাসনে শীতের শুরুতেই আবহাওয়া পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সর্দি,কাশি-জ্বরসহ নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশু রোগীর সংখ্যা।প্রতিনিয়ত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি হচ্ছে রোগীরা। যার মধ্যে বেশির ভাগই সদ্য ভুমিষ্ট হওয়া নবজাতকসহ ১ থেকে ২ বছরের শিশু।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত এক মাসে চরফ্যাসন ১০০ শয্যার এই হাসপাতালে ১০৫জন শিশু নিউমোনিয়া ও ২৮৫ জন শিশু ডায়েরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছে। শিশু ওয়ার্ডে ১ সপ্তাহের ব্যবধানে সাধারণ সর্দি-জ্বর সহ নিউমোনিয়ায় ৩১ জন শিশু আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছে। বর্তমানে শিশু ওর্য়াডে নিউমোনিয়ায় ১০ জন শিশু চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এই শিশুদের সেবা পর্যাবেক্ষনে রয়েছে চিকিৎসকসহ নার্সরা।
শিশু ওয়ার্ডে চিকিৎসা নিতে আসা একাধিক শিশুর স্বজনরা জানান, গত কয়েকদিন যাবৎ ঠান্ডা গরমে হঠাৎ সর্দি জ্বর কাশির সাথে নিউমোনিয়ার লক্ষন দেখা দেয় পরে সন্তানকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। এর মধ্যে কেউ কেউ ৪-৫ দিন যাবৎ হাসপাতালে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। আবার কেউ ইতোমধ্যে সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরছেন। রোগীর স্বজদের ধারনা শীতের প্রভাব বাড়ার সাথে সাথে সর্দি-জ্বরে শিশুরাই বেশি আক্রান্ত হয়ে পড়ছে।
এ বিষয়ে চরফ্যাসন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর আইএমসিআই করর্ণারে দায়িত্ব প্রাপ্ত মেডিকেল অফিসার ডাঃ রেজওয়ানা হক বলেন, বর্তমানে আবহাওয়া পরিবর্তনের ফলে চরফ্যাসনে সাধারণ সর্দি কাশি জ্বর, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়াসহ ঠান্ডা জনিত নানা রোগে আক্রান্ত শিশু রোগীর সংখ্যা খুব বেশি লক্ষ করা যাচ্ছে। প্রতিনিয়তই এখন হাসপাতালে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশুরা ভর্তি হচ্ছে এবং রোগীদের যথাযথ চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে সেবা নিয়ে সুস্থ্য হয়ে বাসায় ফিরেছেন অনেকেই। শীত বাড়ার সাথে এর প্রকোপ আরো বাড়ার আশঙ্কার কথাও জানিয়েছেন। শিশুদের স্বজনদের আরো সতর্ক থাকার পরামর্শও দেন তিনি।
প্রতিবেদনে সুরভী ও মৌসুমী মনিষা
রেডিও মেঘনা-চরফ্যাসন।