সমাজের বাকি সদস্যদের মতো স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারেনা আসলামপুন এলাকার মো: জুয়েল (১৫)। জুয়েলের মা সীমা বেগম (৩০) জানান তার তিন সন্তান, তার মধ্যে জুয়েল বড়। জন্মে পর যখন ধীরে ধীরে বড় হয় জুয়েল তখনই বুঝতে পারেন তার মানসিক এবং শারীরিক সমস্যা। জুয়েলের মা খুব দু:খ প্রকাশ করে বলেন, আমি কখনও ভাবিনি আমার প্রথম সন্তানটি প্রতিবন্ধী হবে। তার বাবা কৃষি কাজ করে সংসারের আয় রোজগার করেন। সংসারে অনেকটা অভাব থাকলেও সন্তানের পিছনে টাকা ব্যয় করেন সীমা বেগম।
পনের বছর বয়স হলেও প্রতিবন্ধি কার্ড করতে পারেননি ছেলের জন্য। প্রতিবন্ধি কার্ড করার জন্য অনেকবার যেতে হয়েছে বিভিন্ন জায়গায়। অনেক কষ্টের পর কার্ডের জন্য কাগজপত্র জমা দিতে পেরেছেন। অভাবের সংসারে একটু সহযোগিতা পেলে অনেক উপকার হবে বলে জানান সিমা বেগম।
এদিকে উপজেলা অতিরিক্ত সমাজ সেবক কর্মকর্তা মো: মামুন জানান, আমরা প্রতিবন্ধী ব্যাক্তিদের ভাতা প্রদানের মাধ্যমে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করে থাকি। এক্ষেত্রে জন্মনিবন্ধন বা আইডি কার্ড অথবা ডাক্তারদের সত্যায়িত সার্টিফিকেট লাগে। এছাড়াও স্থানীয় চেয়ারম্যান বা মেম্বার সাথে অথবা সরাসরি সমাজ সেবা দপ্তরে যোগাযোগ করতে পারেন।
সুবিধা বঞ্চিত মানুষের জীবন-যাপনের গল্প নিয়ে প্রচারিত হয় রেডিও মেঘনার সাপ্তাহিক অনুষ্ঠান ‘ধীমান’। শুনুন প্রতি শুক্রবার সকাল ৯:২৫ মিনিটে শুধু মাত্র ৯৯.০ এফএম এ। অনুষ্ঠানটির উপস্থাপনায় মেঘলা জাহান।