ভোলা জেলার চরফ্যাসনে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মেঘনায় মাছ শিকারের দায়ে গত মাসে ১৭৪ জন মৎস্যজীবিকে আটক করেছে মৎস্য বিভাগ।
উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, ১ মার্চ থেকে এ পর্যন্ত ৪০ টি মামলায় আটক করা হয়েছে ১৭৪ জনকে, ১৪২ জনের জরিমানা করা হয়েছে ৫ লক্ষ ১৯ হাজার টাকা, জাটকা মাছ ৬৭৪ কেজি ও নদীর অন্যান্য মাছ আটক করা হয়েছে ৭২০ কেজি। ৪ লক্ষ ২৪ হাজার মিটার নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল ও অনান্য ১২১টি জাল জব্দ করা হয়। যার আনুমানিক মূল্য ৩৮ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা। ৩৪ জন অপ্রাপ্ত বয়স হওয়ায় মুসলেখা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে সামরাজ, নতুন সুলিজ, বেতুয়াসহ বিভিন্ন মৎস্য ঘাটের মৎস্যজীবিরা বলেন, অবরোধের সময় নদীতে মাছ শিকারে না গিয়ে জাল ও নৌকা মেরামতের কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা।
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ মারুফ হোসেন মিনার বলেন, নিবন্ধিত মৎস্যজীবিদেরকে ২ মাসের ৪০ কেজি করে চাল দেওয়া হচ্ছে। ৩০ এপ্রিলের মধ্য রাত থেকে পুনরায় আবার নদীতে ইলিশসহ সকল ধরনের মাছ ধরা শুরু হয়ে যাবে।
উল্লেখ্য, ভোলার ইলিশা থেকে চর পিয়াল মেঘনা নদীর শাহবাজপুর চ্যানেলের ৯০ কিলোমিটার ও ভেদুরিয়া থেকে চর রুস্তম পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার তেতুলিয়া নদী ইলিশের আভয়শ্রম। এ অভয়শ্রমে ইলিশ সহ সকল প্রকার মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষে ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত সব ধরনের মাছ শিকারের নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে মৎস্য বিভাগ।

সুরভী ও মৌসুমী মনীষা
রেডিও মেঘনা-চরফ্যাসন।