আখ বাংলাদেশের একটি অর্থকারী ফসল। চলতি মৌসুমে অতিবৃষ্টির কারনে এই আখ চাষ করে চরফ্যাসনের অধিকাংশ কৃষক আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। এমনটাই জানান চর-নাজিমউদ্দিন ৩নং ওয়ার্ডের কৃষক মোঃ আমজাদ হোসেন রাঢ়ী(৬৭)।
মোঃ আমজাদ হোসেন রাঢ়ী আরো বলেন, বেশ কয়েক বছর যাবৎ আখ চাষাবাদ করছেন। চলতি মৌসুমে ৪৮ শতাংশ জমিতে আঁখ চাষ করেছেন বলে জানান। আখ ফসলে বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস, ছত্রাক, পোঁকার আক্রমন ও রোগে আক্রান্ত হতে দেখা যায়। যার ফলে আখের পাতায় ছিদ্র দেখা দেওয়া, পাতা কালো বা লাল হয়ে যাওয়া, পাতা কুঁচকে যাওয়া, আখ বা আখের পাতা পঁচে যাওয়া ইত্যাদি। ফসলের কোনো রোগ ও পোঁকার আক্রমনের লক্ষন দেখা দিলে নিকটস্থ্য বাজার থেকে সার ও ঔষুধ ক্রয় করে ফসলে ব্যবহার করেছেন। কিন্তু চলতি মৌসুমে অতিরিক্ত ঝড় বৃষ্টির ফলে জমিতে পানি জমে ফসলের অনেক ক্ষতি হয়েছে। এতে ফসল বাজারে ভালো দামে বিক্রি করতে না পারায় আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন মোঃ আমজাদ হোসেন রাঢ়ী ।
এছাড়াও তিনি বলেন, কৃষকের প্রধান কাজ হচ্ছে কৃষিকাজ। আমি যেহেতু একজন কৃষক। তাই আর্ধিকভাবে ক্ষতি হওয়ার পরেও এখন আবার সামনের মৌসুমের জন্য আখ রোপন করার জন্য জমি প্রস্তুত করছি।
রেডিও মেঘনা ৯৯.০এফএম এর সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান “কৃষি ও কৃষক”। শুনতে পান প্রতি সপ্তাহের বুধবার বিকাল ০৫:০০টায়। শুধুমাত্র রেডিও মেঘনা ৯৯.০ এফএম এ।