চরফ্যাসেন প্রতিটি এলাকাতেই কম বেশি বার মাসই হচ্ছে শসা চাষ। খরচের তুলনায় অধিক ফলন হওয়ায় শসা চাষে আগ্রহ বাড়ছে এই এলাকার কৃষকদের। বর্তমানে শসার বাজার মূল্য বেশি হওয়ায় লাভবান হচ্ছেন চাষিরা।
কৃষি অফিস সূত্র জানায়, চলতি মৌসুমে চরফ্যাসন উপজেলার প্রায় ৭ হাজার হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজির চাষের পাশপাশি শসাটাও হয় ব্যাপকহারে। ফলে সবজি উৎপাদনের ক্ষেত্রে এ উপজেলাটি বিগত কয়েক বছর থেকে খ্যাতি অর্জন করেছে।
পৌরসভা ১ নং ওর্য়াডের শসা চাষি তৈয়বুর রহমান বলেন, প্রতিবছরের মতো এবারও প্রায় ১ একর জমিতে শসা চাষ করেছে। শীত মৌসুমে খুচরা বাজারে এখন শসার ভালো দাম পাচ্ছেন। ১ একর জমি থেকে প্রথবার ২০ মন শসা বিক্রি করেছে ১৫ হাজার টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে ৩০ মন শসা বাজার জাত করে কত টাকা লাভবান হবে তা সঠিক ধরনা করেননি।
তিনি আরও বলেন, প্রতি কেজি শসা ২০ থেকে ২৫ টাকা করে পাইকারি বিক্রি হচ্ছে। প্রতি মণ শসা পাইকারি ছয়শত থেকে আটশত টাকায় বিক্রি করছে। আর এক মাসের মতো ক্ষেত থেকে শসা তুলতে পারবো। আবহাওয়া ভালো ও বাজার মূল্য বেশি হওয়ায় এ মৌসুমে শসা চাষে আয় ভালো হবে।
চরফ্যাসন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু হাসনাইন বলেন, প্রতিবছরই এ উপজেলায় শীতকালীনসহ সব মৌসুমে সবজি উৎপাদনে আগ্রহী কৃষকরা| ইউনিয়ের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে ফসলি জমিতে শসা, লাউ, কুমড়া, চিচিঙ্গা, টমেটোসহ নানা জাতের সবজির চাষ করা হয়। এখানকার সবজি জেলার চাহিদা মেটানোর সাথে সাথে দেশের বাহিরেও রপ্তানি হচ্ছে।
প্রতিবেদনে সুরভী আক্তার ও মৌসুমী মনিষা
রেডিও মেঘনা, চরফ্যাসন ।