জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা এবং সক্ষমতা অর্জনে, উপকূলীয় সম্প্রদায়ের ক্ষমতায়নে প্রান্তিক এলাকার গৃহিণী, কিশোরী, প্রতিবন্ধী সহ ৩০ জনকে নিয়ে উঠান বৈঠকের উদ্যোগ গ্রহণ করে কোস্ট ফাউন্ডেশনের সিআরপি প্রকল্প। বৈঠকের মূল উদ্দেশ্য ছিলো সংসারের কাজের পাশাপাশি বাড়ির আঙিনায় নারীরা শাকসবজি চাষাবাদ করে বাড়তি অর্থ উপার্জন করা। আলোচনায় জান্নাত বেগম বলেন, সুস্থ ও সবলভাবে বেঁচে থাকতে পুষ্টিকর খাবার খেতেই হবে। একজন পূর্ণ বয়স্ক লোকের দৈনিক ২১৩ গ্রাম সবজি খাওয়া প্রয়োজন। কিন্তু আমরা গড়ে মাত্র ৫৩ গ্রাম শাক-সবজি গ্রহণ করি। এর কারণে এদেশের কোটি কোটি মানুষ দৈহিক ও মানসিক অসুখে ভুগছে। এর মধ্যে বেশির ভাগই হচ্ছে শিশু এবং নারী। আমাদের মোট জনসংখ্যার শতকরা প্রায় ৭০ ভাগ, বিশেষ করে মহিলারা লৌহের অভাবে রক্তশূন্যতার শিকার। একমাত্র ভিটামিন-এ’ র অভাবে বছরে ৩০ হাজার শিশু অন্ধ হয়ে যায়। এসব সমস্যা সমাধানে শাক-সবজি খাওয়ার বিকল্প নেই। কারণ শাকসবজি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ছাড়াও সব ধরনের পুষ্টি সরবরাহ করে। তবে সে সবজি হতে হবে অব্যশই বিষমুক্ত। যেহেতু সব বসতবাড়ির আঙ্গিনায় কম বেশি খোলা জায়গা থাকে। তাই সেসব স্থানে শাকসবজি চাষ করে পারিবারিক পুষ্টির চাহিদা মিটানোর পাশাপাশি বাড়তি আয়েরও ব্যবস্থা করা যায়। আরো বলেন, পারিবারিক পুষ্টি চাহিদা পূরণ করে বাড়তি সবজি বিক্রি করে নগদ টাকাও পাওয়া যায়। তাই প্রত্যেকটি বসতবাড়িতেই এ ধরণের বাগান তৈরি করলে আমরা সবাই লাভবান হতে পারবে। আমাদের বসতবাড়িতে পরিত্যক্ত জমি আছে। সেখানে আমরা মৌসুমি ফসল চাষ করি, যেমন: লাউ, লালশাক, ঢেড়শসহ আরো বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করে নিজেদের খাবারের চাহিদা মেটাতে পারি এবং অতিরিক্ত সবজি বিক্রি করে বাড়তি আয় করতে পারি।