ভোলা জেলার উপকূলের প্রান্তিক শিশুদের ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ প্রভাব পড়ছে। ঘূর্ণিঝড়, খরা, বন্যা ও নদী ভাঙনের মতো নানা দূর্যোগের প্রতিকুল প্রভাব পড়ছে উপকূলের শিশুদের ওপর। এতে প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় শিশুরা দুর্বল থাকায় স্বাস্থ্য সুরক্ষার ক্ষেত্রে হুমকির মুখে রয়েছে সামরাজ এলাকার বেড়ির পাড়ের শিশুরা।
বন্যা এবং নদী ভাঙনসহ নানান কারণে অনেক পরিবারকে বেড়ির পাড়ে গিয়ে গাদাগাদি, ঠাসাঠাসি করে বসবাস করতে হচ্ছে। সেখানে তারা স্বাস্থ্যকর খাবার, শিক্ষা, পর্যাপ্ত স্বাস্থসেবা, স্যানিটেশন এবং নিরাপদ খাবার পানির সংকটের ফলে অপুষ্টির ঝুঁকিতে রয়েছে। কথা হয় কয়েকজন শিশুদের সাথে।
এসব বেড়ির পারের বসবাকারী অভিভাবকরা জানান নিরাপদ পানি এবং স্বাস্থ্যকর টয়লেটের ভালো ব্যবস্থা না থাকায় আমাদের শিশুরা বিভিন্ন ধরনের রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
এছাড়াও অভিভাবকরা আরো বলেন, জীবিকার তাগিদে শিশুদের পাঠাতে হচ্ছে নদীতে। সেখানে শিশুশ্রমের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের সহিংসতা ও নিপীড়নের শিকার হয় আমাদের শিশুরা।
পরিবর্তিত জলবায়ু পরিস্থিতিসহ নানাবিধ কারণে শিশুসহ তাদের পরিবারের মধ্যে কলেরা, আমাশয়, টাইফয়েড, ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া জ্বরসহ বিভিন্ন ধরনের রোগবালাই ছড়িয়ে পড়ছে বলে জানান চরফ্যাসন হাসপাতালে মেডিকেল অফিসার ডাক্তার নাহিদ হাসান।
এছাড়াও তিনি আরো বলেন, হাসপাতাল থেকে বিনা মূল্যে পানি বিশুদ্ধ করণ ট্যাবলেটসহ কিশোরীদের বিভিন্ন শারিরীক সমস্যা জন্য আলাদা ভাবে সেবা দেওয়া হয়।
মৌসুমী মনীষা ও সুরভী
রেডিও মেঘনা-চরফ্যাসন।
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে উচ্চ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে চরফ্যাসনের উপকূলের শিশুরা
Recent Comments