একজন সন্তানের জীবনে বাবা হলেন বটবৃক্ষ স্বরূপ। যে বৃক্ষের শীতল ছায়ায় সন্তান কোন প্রকার বাধা বিপত্তি ছাড়াই পরম মমতার পরশে বেড়ে উঠতে থাকে।
এওয়াজপূর ৪নং ওয়ার্ডে চার ছেলে-মেয়েসহ ছয় সদস্যের পরিবার আগলে বসত করেন মোহাম্মদ উল্লাহ মেহের (৩৮)। কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। স্বল্প আয়ে পরিবার পরিজনদের ভরন পোষনের পাশাপাশি চার সন্তানের পড়া-শুনার খরচ বহন করেন। তিনি সন্তানদের পড়া-শুনা করিয়ে মানব কল্যানে নিয়োজিত করতে চান। এই ইচ্ছে তার নিজেকে নিয়ে ছিলো। কিন্তু তখন সংসারে সংকটময় পরিস্থিতিতে পড়াশুনা ছেড়ে বাবার সাথে অর্থ উপার্জন করতে হয়েছে। পরবর্তীতে আবার এই স্বপ্ন জাগ্রত হয় সন্তানদের ঘিরে। তার এই স্বপ্নকে বাস্তবে রুপ দিতে যথা সম্ভব চেষ্টা করবেন তিনি। ছেলে-মেয়েরাও পড়া-শুনায় বেশ মনোযোগী।
বড় মেয়ে মিম (১৫) জানান, আমি নবম শ্রেণীতে পড়ি। আমার বাবার ইচ্ছে পূরনের লক্ষ্যে সামনের দিকে অগ্রসর হতে চাই। ভবিষ্যতে যেনো আমার বাবার মুখ উজ্জল করতে পারি। তিনি অনেক পরিশ্রম করে আমাদের পড়া-শুনার খরচ বহন করেন। এই পরিশ্রম যেনো বৃথা না হয় সেই চেষ্টাই করছি।
পাশের এলাকার চার সন্তানের জননী সুনিয়া বেগম (৩৫)। চার মেয়ে ছোট থেকেই নিজের মতো করে গড়ে তোলতে চেয়েছেন। এই ইচ্ছে পূরনে বড় ও মেজো মেয়েকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত পড়া-শুনা করিয়ে বিয়ে দিয়ে দেন। পরে চেষ্টা করলেও আর তাদের পড়াশুনা করাতে পারেননি। চলতে চলতে মাঝপথে
থমকে যায় অতীতের পরিশ্রম। তাতেও তিনি হাল ছেড়ে দেননি। ছোট দুই মেয়েকে নিয়ে সামনের দিকে অগ্রসর হতে চান।
রেডিও মেঘনার সাপ্তাহিক অনুষ্ঠান “মা বাবার স্বপ্ন” শুনুন প্রতি সোমবার বিকাল ৫:৪০ মিনিটে। শুধু মাত্র ৯৯.০ এফএম এ।
উপস্থাপনায় ফাতেমা জাহান, সম্পাদনায় সুরভী।