ভোলার চরফ্যাসনে ইরি-বোরো মৌসুমের ধান কাটা ও মাড়াইয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। এবার ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকের মুখে হাসির ফুটেছে। আবহাওয়া ভালো থাকলে সুষ্ঠভাবে ফসল ঘরে তুলতে পারবেন তারা।
উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য মতে, উপজেলায় বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্র ছিলো ২৭ হাজার ৮ হেক্টর। উৎপাদন হয়েছে ২৬ হাজার ৩শ ৭৫ হেক্টর। বোরো আবাদে উৎপাদন লক্ষমাত্র ছিলো প্রায় ১ লাখ ৪৮ হাজার ৫৪৪ মেট্রিক টন। এরই মধ্যে ৩০-৩৫ শতাংশ ধান কাটা-মাড়াই হয়েছে। হেক্টর প্রতি ফলন ৬.৫ মেটট্রিক টন।
হামিদপুর এলাকার চাষিরা জানান, আবহাওয়া ভালো থাকায় ধানের ফলনও ভালো হয়েছে। ধানে পোকার আক্রমণ কম হয়েছে। গত বছরের প্রাকৃতিক দুর্যোগে বোরো ফসলের যে ক্ষতি হয়েছিল তা পুশিয়ে নিতে পারবেন। তবে এবার সার, কীটনাশক, জ্বালানি তেল ও শ্রমিকের দাম বেড়ে যাওয়ায় ফসল উৎপাদন খরচ বেড়েছে।
উপজেলা উপসহকারী কর্মকর্তা ঠাকুর কৃষ্ণ দাস বলেন, সামনে ১ সপ্তাহ আবহাওয়া ভালো থাকলে কৃষকরা সুষ্ঠভাবে ধান ঘরে তুলতে পারবেন।ফলনও হয়েছে ভালো। এবার বাম্পার ফলনের আশা চাষীদের। তবে দ্রুত সময়ের মধ্যে হারবেস্ট্রার মেশিন দিয়ে ধান ঘরে তুলতে কৃষকদের পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। ন্যায্য মূল্য পেলে এ উপজেলার মানুষের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নতি হবে।

সুরভী ও অধরা ইসলাম
রেডিও মেঘনা, চরফ্যাসন।