অগোছাল চুল, অপরিষ্কার জামা, হাত পায়ের বড় বড় নখ নিয়েই অনায়াসেই খাবার তৈরি করা, খালি পায়েই হেঁটে বেড়াত যে কোন জায়গায়। নিজের যত্ন সম্পর্কে অনেকটা উদাসিন ছিলো মাদ্রাজ ইউনিয়নের কিশোরীরা। ঐ এলাকার কিশোরীদের নিয়ে গঠন করা হয় রেডিও মেঘনায় রজনীগন্ধা শ্রোতা ক্লাব। প্রচার করা হয় ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা বিষয়ক পিএসএ, নাটকসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান। সুন্দর পরিপার্টি হয়ে ওঠার গল্প বলছেন মুক্তা আক্তার।
তিনি বলেন, এই এলাকায় আমার বয়সী অনেক কিশোরী আছে পড়াশুনা করে। আবার অনেকে পড়াশুনা করে না দেখা যেতো অগোছাল থাকতো, নোংরা জামা গায় দিয়ে সারাদিন থাকতো। হাত পায়ের নখে ময়লা নিয়ে যেকোনো খাবার খেতো। এক কথায় অযতœশীল ছিলো নিজের পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে। নিজেকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার বিষয়ে কোনো মনোযোগ ছিলো না তাদের।
কিছুদিন আগেও যারা ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা সম্পর্কে জানতো না। তারা আজ রেডিও মেঘনার রজনীগন্ধা শ্রোতা ক্লাবের সদস্য। নিয়মিত শুনেন, রেডিও মেঘনার অনুষ্ঠান এমনটা জানান মুক্তা আক্তার।
মুক্তা আরো জানান, আমরা সবাই প্রায়ই একসাথে শুনি রেডিও মেঘনা। এখন আমরা সবাই নিজের যত্ন নেই। দাঁত ব্রাশ করি, নখ কাটি, দুবেলা চুল আচরাই, নিজেকে পরিপাটি করে রাখি। ময়লা জায়গায় হাঁটার সময় মনে করে জুতা পরে নেই। টয়লেট থেকে ফিরে অবশ্যই ভালো করে হাত ধুয়ে থাকি। রেডিও মেঘনার জন্য কিশোরী মেয়েদের মধ্যে এই পরিবর্তন লক্ষ করা যায়।
এছাড়াও এলাকার কিশোরীদের ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা কি? কিভাবে নিজেকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা যায় সেবিষয়ে কাজ করে যাচ্ছেন মুক্তাসহ ক্লাবের অন্য সদস্যরাও। তিনি বলেন, আমরা আমাদের এলাকার কিশোরী মেয়েদের বা একটু অসচেতন পরিবার আছে তাদেরকে বুঝাই। কিশোরীদের আমাদের ক্লাবে আসার জন্য অনুপ্রেরণা দেই। কিভাবে নিজেকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা রাখা যায়, স্বাস্থ্য ভালো রাখার বিষয়ে বুঝিয়ে থাকে, চরফ্যাশনের কিশোরীরা ব্যক্তি জীবনকে এগিয়ে নিতে পারবে এমন প্রত্যাশা মুক্তা আক্তারের।
রজনীগন্ধা ক্লাবের মতো রেডিও মেঘনার ক্লাবগুলো সমাজে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য কাজ করছে এবং হয়ে উঠছে আত্মবিশ্বসী।