চরফ্যাসন উপজেলার উত্তরমাদ্রাজ ইউনিয়নের অহিদ আলী মিয়া হাইব্রিড জাতের পেঁপে চাষে সফল হয়েছেন। ৪-৬ ফুট উচ্চতার গাছ গুলোতে থোকায় থোকায় ঝুলছে সবুজ ও হলুদ রঙের অসংখ্য পেঁপে। পেঁপের ভালো ফলন পেয়ে খুশি তিনি।
দু’বছর আগে থেকে পেঁপের চাষ শুরু করেন। প্রথম দিকে স্বল্প পরিসরে এ চাষ শুরু করলেও এ বছর বাণিজ্যিক ভিত্তিতে সাড়ে ১৮ গন্ডা জমিতে প্রায় ৪শত পেঁপের চারা রোপন করেন তিনি। সবগুলো গাছে থোকায় থোকায় হলুদ ও সবুজ রঙের পেঁপে ঝুলছে। আর তাতেই পেয়ে যান সাফল্য। পেঁপের বাম্পার ফলনে উঠতে থাকে তার আর্থিক অবস্থা।
চারা রোপনের আড়াই থেকে তিন মাসের মধ্যেই ফলন পেতে শুরু করেন তিনি। এই পেঁপের বাগান করতে সব মিলিয়ে প্রায় দেড় লাখ টাকা খরচ হয়েছে। মাসে আয় আসে প্রায় ২৫ হাজার টাকা এবং বছরে আয় আসে ৩লাখ টাকা। অল্প খরচে অধিক লাভ হয় বলে পেঁপে চাষে দিন দিন আগ্রহী হয়ে উঠছেন চাষিরা। অনেকেই এখন তার সাথে কথা বলে পেঁপে চাষ করার পরিকল্পনা করছেন। আবার অনেকে বাগান করা শুরুও করেছেন বলে জানান তিনি।

চরফ্যাসনের উৎপাদিত পেঁপে স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন জেলায়। অনুকূল আবহাওয়া আর পেঁপে চাষের উপযোগী মাটির জন্য উপজেলার কৃষকরা পেঁপে চাষে ঝুঁকছেন। বর্তমানে কিছু কিছু এলাকায় বাণিজ্যিক ভিত্তিতে পেঁপে চাষ করা হচ্ছে।

প্রতিবেদনে অধরা ইসলাম ও মৌসুমী মনীষা
রেডিও মেঘনা-চরফ্যাসন।