শীতের হাত থেকে রক্ষা পেতে নিম্ন আয়ের মানুষের পাশপাশি সকল শ্রেণির মানুষ পুরাতন পোশাকের দোকানে ভিড় করতে দেখা যায়। শীত এলেই চরফ্যাসনে বিভিন্ন স্থানে মোটা গরম কাপড়ের সমারোহ হয় বিপুল পরিমাণে।
প্রতিবছরের মতো এবারও সারাদেশের ন্যায় ভোলার চরফ্যাসনে শীতের তীব্রতা ধীরে ধীরে বেড়ে চলছে। শীতের হাত থেকে রক্ষা পেতে নিম্ন আয়ের মানুষের পাশপাশি সকল শ্রেণির মানুষ পুরাতন পোশাকের দোকানে ভিড় দেখা যায়। এসব ফুটপাতের দোকানে ৫০ টাকা থেকে শুরু করে ২০০০ টাকা দরের কাপড় পাওয়া যাচ্ছে।
৩ ডিসেম্বর (সোমবার ) উপজেলার শরীফ পাড়া স্থানে পুরাতন কাপড়ের দোকান ঘুরে দেখা গেছে, দোকানে ক্রেতাদের আগ্রহ যেন একটু বেশি। এর মূল কারণ হলো কাপড়ের দাম কম। এ কারণেই নিম্ন ও মধ্যম আয়ের ক্রেতাদের ভিড় বেশি থাকে। ১০ থেকে ১২ জন ব্যবসায়ী এবার পুরাতন গরম মোটা কাপড় বিক্রি করেন।
ক্রেতা আবুল কালাম ও আলিম মিয়া জানান, প্রতিবছর শীতের শুরুতেই এখানে পুরাতন গরম পোশাকের দোকান দিয়ে থাকে ব্যবসায়ীরা। এখানে কম দামে বেশ ভালো পোশাক পাওয়ায় যায়। তাই শীত আসলে এখান থেকেই নিজের ও পরিবারের সদস্যদের জন্য পোশাক কিনে থাকে।
চরফ্যাসনের পুরাতন শীত পোশাক বিক্রেতা মোঃ কামরুল ও মোঃ লোকমান জানান, ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে এ বছর কয়েক লট মাল আনা হয়েছে। ভালো বিক্রিও হয়েছে। সকল শ্রেনীর ক্রেতারা প্রচুর আসছেন। তবে এবছর তেল এর দাম বাড়তির অজুহাতে এই সব পোশাকের দাম ও বাড়তি দামে কিনে আনতে হয়েছে।বিকেলের দিকে বেশি বেচাকেনা হয় পছন্দসই ভালো কাপড় খুঁজে নিতে ক্রেতাদের থাকে বাড়তি আগ্রহ।
বিক্রেতারা আব্দুর রহমান বলেন, এবছর শীতের পরিমান বেশি হওয়ায় পুরাতন পোশাক বেশি বিক্রি হয়েছে এতে সকল ব্যবসায়ীরা মোটামুটি লাভবান আছে। এসব ফুটপাতের দোকানে ৫০ টাকা থেকে শুরু করে ২০০০ টাকা দরের কাপড় পাওয়া যায় বলে ক্রেতারাও আগ্রহী বেশি ।
প্রতিবেদনে সুরভী ও অধরা ইসলাম
রেডিও মেঘনা, চরফ্যাসন।
Recent Comments