নাইট্রেট ও নাইট্রাইট যুক্ত খাবারে যখন নাইট্রোজেনের পরিমাণ বেশি থাকে। তখন তা পশুর শরীরে এক ধরণের বিষক্রিয়া সৃষ্টি করে। এ বিষক্রিয়াকে আমরা নাইট্রেট ও নাইট্রাইট বিষক্রিয়া বলে থাকি। সাধারণত বৃষ্টির পরে গজানো কচি ঘাসের মধ্যে নাইট্রোজেনের পরিমান বেশি থাকে। তখন বৃষ্টির পানিতে মিশ্রিত এসিডের সাথে কচি ঘাসের নাইট্রোজেন রাসায়নিক ভাবে নাইট্রেট ও নাইট্রাইট বিষক্রিয়া উৎপাদন করে। গরু সবুজ কচি ঘাসের সাথে এ বিষ গ্রহণ করে। অতঃপর গরুর মৃত লাশ হওয়ার ঘটনা ঘটতে দেখে যায়।
নাইট্রেট বিষক্রিয়া বেশি হয়ে থাকে শ্যামা, হেলেঞ্চা, বোরা ইত্যাদি ঘাষে এই নাইট্রেট যুক্ত ঘাস খেয়ে গরুর শরীরে বিষক্রিয়া হতে পারে। এছাড়াও ভূট্টা গেইচা, মূলা, সরিষাতে ৩% এবং নেপিয়ারে ৯.৮% নাইট্রেট থাকে বিধায় গরুকে এসব ঘাস খাওয়ানো অত্যান্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
চরফ্যাসন উপজেলার ভারপ্রাপÍ কর্মকর্তা ভেটেরিনারি সার্জন ডাক্তার মো: রহমাতুল্লাহ বলেন, গবাদি পশুকে সুস্থ রাখতে একজন খামারি বা কৃষককে অবশ্যই সচেতন থাকতে হবে। এই বর্ষা মৌসুম শেষে বৃষ্টির পানি পেয়ে জমিতে নতুন ঘাষ জন্মায় সেই ঘাষে তুলনামূলক বেশি পরিমানে নাইট্রেট থাকে। নাইট্রেট যুক্ত ঘাষ খেয়ে পশু আক্রান্ত হলে সাথে সাথে গবাদি পশুর শরীরের রক্ত নষ্ট হয়ে যায় এবং সাথে সাথে মারা যায়। তাই বৃষ্টির পর নতুন গজানো ঘাষ খাওয়ানো থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেন তিনি।
‘যতেœ মিলুক সফলতা’ অনুষ্ঠানটি প্রচারিত হয় প্রতি মাসের প্রথম ও তৃতীয় সপ্তাহে। শুধু মাত্র রেডিও মেঘনা ৯৯.০ এফএম। অনুষ্ঠানটির উপস্থাপনায় লাবনী হোসেন, প্রযোজনায় মৌসুমী মনীষা।