হেমন্তের পর প্রকৃতিতে কনকনে শীত নিয়ে এলো পৌষ। তবে পঞ্জিকায় পৌষ আসার আগ থেকেই শীত ঘিরে নিয়েছে চারপাশ। শীতকাল তুলনামূলক আরামদায়ক হলেও এ সময়ে কিছু বাড়তি রোগ দেখা দেয়, ফলে আবহাওয়ার এই পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে পারেন না বেশি শিশু ও বৃদ্ধরা। আর এই ঠান্ডা অবহাওয়ায় সর্দি-কাশি ও জ্বরে সহজেই আক্রান্ত হচ্ছেন মেঘনার পাড় এবং চরাঞ্চল মানুষ।
মেঘনা পাড়ের বসবাসরত জেলে পাড়ার বাসিন্দা হালিম, রবিউল ও আচমা আক্তার জানান, নদীর কাছে বাড়ি ঘর হওয়ায় তীব্র শীত ও বাতাসের প্রকোপ অনেক বেশি অনুভব করতে হয়। এতে নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন মেঘনার পাড়ের মানুষ সহ গৃহপালিত পশু-পাখিও। হঠাৎ আবহাওয়া পরিবর্তনের কারনে সর্দি-কাশি ও জ্বরে আক্রান্ত প্রায় প্রতি ঘরের সদস্যরা।
চরফ্যাসন উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শোভন কুমার বসাক জানান, শীতকাল বলতে পৌষ মাসকেই বোঝায়। কিন্তু এবার পৌষ মাসের আগেই জেঁকে বসেছে শীত। ফলে জ¦র, সর্দি, নিউমোনিয়াসহ শীতকালীন নানা রোগ শরীরে আক্রমণের সুযোগ পায়। এতে আক্রান্ত হচ্ছেন বৃদ্ব ও শিশু সহ সকল বয়সের মানুষরা। এ থেকে বাচঁতে ভিটামিন সি-যুক্ত খাবার ও কুসুম গরম পানি বেশি খেতে হবে। ঠান্ডায় বাহিরে বের হলে গরম কাপড় পরে বের হতে হবে বলে জানান তিনি।