শেষ মুহূর্তে ঈদের কেনাকাটা করতে মার্কেটে মার্কেটে ছুটছেন চরফ্যাসনের বাসিন্দারা। এতে ক্রেতাদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে পোশাকের দোকানগুলো পুরোদমে জমেছে ঈদের কেনাকাটা।
আসন্ন ঈদ-উল আজহাযাকে কেন্দ্র করে সারাদেশের ন্যায় চরফ্যাসনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বসেছে চলছে বেঁচা কেনা। তবে বেশির ভাগ ক্রেতাদের মাঝেই দেখা যাচ্ছে স্বাস্থ সচেতনতা নেই। কেউ মাস্ক পরে আছেন কারোটা থুতনির নিচে এবং অনেকে পকেটে রেখে ঈদ কেনাকাটায ব্যস্ত আছেন। ব্যবসায়ীরা বলেছেন, বেশ কয়েকদিন লকডাউনথাকায় তাদের বেচা- কেনা হয়নি। লকডাউন শিথিল হওয়ার পর ঈদের সময় ঘনিয়ে আসায় ক্রেতাদের ভিড় বেড়েছে।
তারা আরও বলছেন, ক্রেতাদের ভির থাকলেও এবারের বিক্রি পরিস্থিতি ভালো না। প্রথমদিকে লোকসান হবে এমনটি ভেবেছেন, সেই আশঙ্কা কিছুটা কমেছে লকডাউন শিথিল করায়। অনেকেই অল্প হলেও লাভের আশা করছেন।
ঈদ সবাইকে নিয়ে আনন্দ ভাগাভাগির দিন। নিজে পোশাক না কিনে ছেলে মেয়েদের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য এই করোনার মধ্যও বাজারে এসে কেনাকাটা করছে লিমা বেগম। নিজের সামর্থের মধ্যে সন্তানের জন্য কিনছেন জুতা জামা প্যান্ট।
অনেকেই বলছেন করোনায় তারা আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন তাই কম দামে ভালো পোশাক খুঁজছেন তারা।
ক্রেতা নাজমা বেগম বলেন গত বছর কারও জন্য কিছু কেনা হয়নি। এবার কিছু না কিনলে কিভাবে হয়,ছেলে মেয়েদের শখ আহ্লাদ আছে। করোনার ভয়ে ঘরের মধ্যে আর কতদিন থাকবো।
এদিকে চরফ্যাসন উপজেলা এসিলেন্ট রিপন দাস বলেন, এবার করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার মধ্যে। কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয় তাই বিশেষ নজরদারি রয়েছে। ক্রেতা বিক্রেতার বেঁচা কেনা করতে পারেন সেজন্য সকল প্রকার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এবং যারা স্বাথ্যবিধি মানছেন না তাদেরকে জরিমানা করছেন।
সালমা আফরিন
রেডিও মেঘনা
প্রতিবেদনটি প্রচারিত হয়েছে ১৯ জুলাই সন্ধ্যা ৭টায়। রেডিও মেঘনা ৯৯.০এফএমএ।
Recent Comments