সময় যেন এক প্রবাহমান স্রোতধারা। সময় পাল্টায়, জীবন বদলে যায়, মানুষের অবস্থারও পরিবর্তন ঘটে। অতীত জীবনের পার হওয়া সময়গুলোই মানুষের কাছে একসময় স্মৃতি হিসেবে জমা হয়। অতীত হতে চলেছে আরও একটি বছর। আজ সূর্যাস্তের পর মহাকালের গর্ভে হারিয়ে যাবে বছরটি। দিনের শেষ আলোয় ২০২২ তার সমাপ্তির চূড়ান্ত বারতা ছড়িয়ে দেবে ইংরেজি নববর্ষ।

সময়ের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এগিয়ে চলে আমাদের। এজন্য বলা হয়েছে যে, ‘সময় ও স্রোত কারো জন্য অপেক্ষা করে না’। তাই একের পর এক পঞ্জিকার পাতা উল্টে চলে যায় দিন, মাস, বছর, যুগের পর যুগ। কালের পরিক্রমায় এভাবেই দিনপঞ্জির পাতা উল্টাতে উল্টাতে রোববারের ভোর পৃথিবীর বুকে আমন্ত্রণ জানাবে নতুন বছর ২০২৩-কে। শুভ ইংরেজি নববর্ষ!

সামাজিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক, শিক্ষাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ২০২২ একটি ঘটনাবহুল বছর। ব্যক্তি, জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে নানা চ্যালেঞ্জ ও উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে এগিয়ে গেছে বছরটি। রীতি অনুযায়ী জানুয়ারির ১ তারিখে বাংলাদেশে নিউ ইয়ার উদযাপন করা হয়। ৩১ ডিসেম্বর দিন পেরিয়ে শুণ্য ঘণ্টা থেকে শুরু হয় উৎসব। রাতের এ উৎসবকে বলা হয় ‘থার্টি ফার্স্ট নাইট’।

বিভিন্ন দেশের মতো আমাদের দেশেও ইংরেজি নতুন বছর ২০২৩ উদযাপনে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। গ্রামাঞ্চলে কোথাও কোথাও এ উৎসব উদযাপন হলেও তা খুবই নগণ্য। কিন্তু বড় শহর ও মফস্বলে এ উৎসবের জনপ্রিয়তা বেশ লক্ষণীয়।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একে অপরের সাথে শুভেচ্ছাবার্তা বিনিময়ে আনন্দের ধারা বয়ে যাচ্ছে তরুন প্রজন্মের মাঝে।
বছরের সুখ-দুঃখ, আনন্দ -বেদনা পেছনে ফেলে নতুন বছরে এগিয়ে যাওয়ার অনুভূতি জানাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। এদিকে ব্যবসায়ীরা বলছে, বৈশ্বিক করোনা মহামারি ও দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির কারণে দেখা দেয় স্থিতিশীলতা।

জাতীয় জীবনে ২০২২ সালের বড় অর্জন দেশীয় অর্থায়নে উদ্বোধন হয় স্বপ্নের পদ্মা সেতু। কর্ণফুলী টানেলের ও আরেক স্বপ্ন পূরণ হয় ২৮ ডিসেম্বর মেট্রোরেল উদ্বোধন। এগিয়ে যাওয়ার এই যাত্রায় আনন্দের ধারা বয়ে যাচ্ছে উপকূলীয় জনসাধারণের মাঝে।
নতুন বছর কাটুক সবাইকে নিয়ে সুস্থভাবে। দিনবদলের সাথে তাল মিলিয়ে সকলেই যেন হাঁটতে পারি নতুন আলোর পথে।

মৌসুমী মনীষা ও সুরভী
রেডিও মেঘনা-চরফ্যাসন।