সারাদেশের এক কোটি মানুষকে নিবন্ধন ছাড়াই করোনাভাইরাসের প্রথম ডোজ টিকা দিতে চায় সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় ভোলার চরফ্যাসন উপজেলাতেও আজ শনিবার ২৬ ফেব্রুয়ারি সকাল থেকেই হাসপাতাল, গ্রাম পর্যায়ে কমিউনিটি ক্লিনিক, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ অন্য অস্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রগুলোতেও চলছে করোনার প্রথম ডোজের টিকা কর্মসূচী। করোনার ভাইরাসের টিকা প্রত্যাশিদের ভিড় বেড়েছে চরফ্যাসন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ টিকা কেন্দ্রগুলোতে।
১২ বছর বা তার বেশি বয়সী যে কেউ এখন থেকে টিকা পেতে লাগছে না কোনো ধরনের নিবন্ধন কিংবা কাগজপত্র এছাড়া জন্মনিবন্ধন বা জাতীয় পরিচয়পত্র নেই, এমন ব্যক্তিরাও আজ মোবাইল নম্বরের মাধ্যমে নির্ধারিত কেন্দ্রগুলোতে গিয়ে টিকা নিতে পারবেন টিকা দেওয়ার কাজে যুক্ত থাকবেন স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীদের পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবকেরা। এসময় দেওয়া হচ্ছে আ্যস্টেজেনিকা, ভেরোসেল, কোভিসিল্ড, ফাইজার, সিনোভেক্সসহ আরো বেশ কিছু টিকা। চরফ্যাসন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ শোভন কুমার বসাক এ তথ্য জানান।
সরকার নিবন্ধন ছাড়াই করোনা ভাইরাসের টিকা গ্রহনের ব্যবস্থা করায় টিকা প্রত্যাশিদের কোনো প্রকার হয়রানি বা জামেলা না হওয়ায় টিকা দেওয়ার আগ্রহ বেড়েছে তবে দীর্ঘ সময় লাইনে দাড়িয়ে থেকে টিকা নিয়ে ভালো লাগার পাশপাশি কিছুটা ভোগান্তির বিষয়ে জানান একাধিক টিকা গ্রহিতা।
উল্লেখ্য, দেশে গত বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি করোনা ভাইরাসের টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া শুরু হয়। দুই মস পর ৮ এপ্রিল শুরু হয় দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার কার্যক্রম। গেল বছরের ২৮ ডিসেম্বর তৃতীয় বা বুস্টার ডোজ শুরু করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর তা এখনো চলমান রয়েছে।
প্রতিবেদনে সুরভী ও অধরা।
রেডিও মেঘনা, চরফ্যাসন।