বিগত দুয়েক মাসের অনাবৃষ্টিতে ফসলি জমি, মাঠ-ঘাট দ্রুত শুকিয়ে প্রায় চৌচির। এমতাবস্থায় গত রবিবার (৮ মে) বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়টি ‘অশণি’তে রুপ নেয়। এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত ভোলা জেলাসহ চরফ্যাসন উপজেলাতেও প্রচুর বৃষ্টি হয়। সেই সাথে নদীতে জোয়ারের পানি বেড়েছে। ধান কাটার আগ মুহূর্তে প্রবল বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে উপজেলার ২১টি ইউনিয়নের প্রায় বেশির ভাগ গ্রামের পাকা ও আধাপাকা বোরো ধান পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে কৃষকের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা। এদিকে এবার বৃষ্টির আগে থেকে কৃষকদের সতর্ক ও পাকা ধান মাঠ থেকে তুলে নেওয়ার ব্যাপারেও পরামর্শ দিয়েছে কৃষি অফিস।
উপজেলার চর নাজিমুদ্দিন ইউনিয়নের কৃষক সাইদুল হক জানান, এ বছর ২ একর জমিতে বোরো আবাদ করেছেন। এর মধ্যে অল্প কিছু ধান কেঁটে নিয়েছি। কারন ঝড় বৃষ্টির জন্য জমিতে পানি জমে পাকা ধান তলিয়ে গেছে এতে অনেক ক্ষতি হয়েছে লাভের কোন আশা ভরসা নেই ।
কৃষক ইব্রাহিম জানান, এবছর বোরোর ভালো ফলন হওয়ার সম্ভাবনা ছিলো এখনো ধান পুরোপুরি পাকেনি। কিন্তু ঝড়ের কারনে ক্ষতির মুখে পড়েছে তবে পাকা কিছু ধান টিকানোর জন্য বৃষ্টির মধ্যেও আধা- পাকা ধান কেটে ঘরে তুলে নিচ্ছেন।
কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে, এবছর বোরো ধান আবাদে লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২৭ হাজার ৭৪৫ হেক্টর। অর্জিত হয়েছে ২৭ হাজার ৮ হেক্টর। ঘূর্ণিঝড় ‘অশণি’ দুর্বল হয়ে পড়ায় এর সরাসরি আঘাত না এলেও এর প্রভাবে বৃষ্টিপাতে কৃষি ও কৃষকের ফসলহানির আশঙ্কা বেড়ে গেছে। মাত্র ২০ শতাংশ জমির ধান কাটা হলেও ৮০ শতাংশ জমির ধান এখনো মাঠে রয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এলাকা ভিত্তিক বিভিন্ন ফসলের ক্ষয়ক্ষতির হিসাব তৈরির কাজ শুরু করেছে।

সুরভী ও অধরা ইসলাম
রেডিও মেঘনা, চরফ্যাসন।