গত ২৪ অক্টোবর থেকে দেশের সাত বিভাগের সাথে একযোগে ভোলার চরফ্যাসন উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৫ম থেকে ৯ম শ্রেণীর কিশোরীদের জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে প্রথমবারের মতো বিনামূল্যে এক ডোজ হিউম্যান পেপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) টিকার ক্যাম্পেইন শুরু হয়েছে। চিকিৎসকরা বলছেন, জরায়ু মুখে ক্যানসার প্রতিরোধে এই টিকা সম্পূর্ন নিরাপদ।
উপজেলা হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, চরফ্যাসনের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ২৯ হাজার শিক্ষার্থী ও স্কুল বর্হিভুত ১৪ হাজার কিশোরীদের বিনা মূল্যে এ টিকা দেওয়া হবে। এ লক্ষ্যে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকাল ২টা পর্যন্ত টিকা ক্যাম্পেইন চলবে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ শোভন কুমার বসাক বলেন, বাংলাদেশে নারীদের ২য় সর্বোচ্চ জরায়ুমুখ ক্যান্সার। তাই বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগে জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে ২৪ অক্টোবর থেকে ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত প্রাথমিকভাবে “৫ম থেকে ৯ম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত ছাত্রী” এবং “১০ থেকে ১৪” বছর বয়সী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বহির্ভূত কিশোরীদের বিনামূল্যে এইচপিভি টিকা প্রদান করা হচ্ছে।
এসময় তিনি বলেন, ১৮ কর্ম দিবসের টিকাদান কার্যক্রম পরিচালিত হবে তার মধ্যে প্রথম ১০ দিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও স্থায়ী কেন্দ্রসমূহে এবং পরবতী ৮ কর্ম দিবসের নিয়মিত ইপিআই স্থায়ী এবং অস্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রসমূহে এ টিকাদান কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হবে। এই ক্যাম্পেইন থেকে টিকা পেতে ওয়েবসাইটে নিবন্ধন করতে হবে। এছাড়াও নিবন্ধনে ব্যর্থ শিক্ষার্থীরা জন্মনিবন্ধনের সনদ নিয়ে টিকা কেন্দ্রে গিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে টিকা নিতে পারবেন বলে জানান তিনি।