সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যামে পরিবারে আসবে মঙ্গল ও উন্নতিসাধন। একজন দম্পতি সর্বমোট কয়টি সন্তান নেবেন, কতদিনের বিরতি নেবেন সে সিদ্ধাত জন্ম-নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমেই তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব। কিন্তু জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি গ্রহণে নারীরা এগিয়ে আসলেও এ বিষয়ে পুরুষদের কোনো আগ্রহ নেই বলে জানা যায়। ছোট পরিবার সুখি পরিবার। কিন্তু পরিবার পরিকল্পনায় যেনো পুরুষের কোনো ভূমিকাই নেই। নেই পদ্ধতি গ্রহণে আগ্রহ। উপজেলার আসলামপুর এলাকার শাহাজাহান ও আল-আমিন জানান, ‘পরিবার পরিকল্পনার পদ্ধতি হলো নারীদের জন্য। পুরুষের আবার কিসের পদ্ধতি?’এদিকে নারীরা বলছেন পুরুষের অসচেতনতা এবং অনিহার কারণে পরিবার বড় হচ্ছে। স্থায়ী পদ্ধতি গ্রহণের কথা বললেও কোনো কাজ হয়না বলে জানান এই এলাকার আছমা বেগম। অনেক ক্ষেত্রেই এটিকে নারীদের বিষয় বলে নারীদের ওপর চাপিয়ে দিয়ে দায় এড়াতে চান পুরুষরা। এমনটাই বলছেন চরফ্যাসন উপজেলার কয়েক জন নারী। আবার অনেক নারীরা সংসারে অশান্তি হবে ভেবেই পুরুষদের না জানিয়ে গোপনে পরিবার পরিকল্পনার জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি গ্রহন করছেন বলে জানান শেফালি রানী, রাবেয়া। এ বিষয়ে চরফ্যাসন পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শীকা নিশি আক্তার বলেন, পরিবার পরিকল্পনাগুলো নারীদের জন্যই বেশি। পুরুষের জন্য শুধুমাত্র একটি পদ্ধতি এনএসভি। যার কারণে এটিতে অনাগ্রহ পুরুষের। ফলে অনেকটা বাধ্য হয়েই নারীরাই পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি গ্রহণ করছেন। মৌসুমী মনীষারেডিও মেঘনা-চরফ্যাসন।
Recent Comments