সরকারের নির্দিষ্ট ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে সাগরে গিয়েছিলেন হাজার হাজার মৎস্যজীবী। পূর্ণিমার প্রভাবে টানা কয়েক দিন ধরে সারাদেশের ন্যায় চরফ্যাসনেও বৃষ্টি হচ্ছে। আবহাওয়া অফিস বলছে, সমুদে চলছে সতর্ক সংকেত নিরাপদ আশ্রয় ফিরছে শত শত ট্রলার।
ইলিশের ভরা মৌসুমে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্নিঝড় এর প্রভাবে সমুদ্র উত্তাল থাকায় ইতোমধ্যেই কয়েকশ ট্রলার মেঘনা নদীর বিভিন্ন স্থানে নিরাপদ আশ্রয় নিয়েছে। তবে কাঙ্খিত ইলিশ না পেয়ে হতাশ মৎস্যজীবীরা।
চরফ্যাসন বেতুয়া ফিসারিজ মৎস্য ঘাটের মোহাম্মদ আলী, সিরাজ মাঝি বলেন, সাগরের আবহাওয়া খারাপের পাশাপাশি এখন জ্বালানি তেলের দামও বেড়ে গেছে। এতে সাগরে ট্রলার পাঠানো নিয়ে দ্বিধায় আছেন। এবছর নদীতে মাছ নেই বলে চলে। সাগর উত্তাল থাকায় মাছ ধরতে যেতে পারছে না।
নতুন মাছঘাটের হোসেন মাঝি জানান, সাগর থেকে ট্রলার নিরাপদ আশ্রয়ে চলে এসেছে। গভীর সাগরের ট্রলার এখনো আসা বাকি।
মামুন মাঝি বলেন, বরিশাল মেহেন্দীগঞ্জ থেকে চরফ্যাসনের মেঘনায় মাছ শিকারে এসেছে। বৈরি আবহাওয়ার কারণে মাছ শিকার না করে নতুন মাছঘাটে চলে এসেছি । যখন আবহাওয়া ভালো হবে, তখন আবারও সাগরে মাছ শিকারে যাবো।
এদিকে, বৈরি আবহাওয়া এবং জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির কারণে অধিকাংশ ট্রলার চরফ্যাসন উপকূলের বিভিন্ন মৎস্যঘাটে নোঙর করেছে এবং অতিবর্ষায় বাতাসে গতিবেগ বেড়ে যাওয়ায় নিম্মাঞ্চল জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়ে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
সুরভী ও মৌসুমী মনীষা।
রেডিও মেঘনা,চরফ্যাসন।